পার্থ প্রতীম দাস

এনগেজমেন্ট এডিটর, ডিসমিসল্যাব
২০২৩ সালে ভুল ও অপতথ্যের প্রবণতা যেমন ছিল
This article is more than 8 months old

২০২৩ সালে ভুল ও অপতথ্যের প্রবণতা যেমন ছিল

পার্থ প্রতীম দাস

এনগেজমেন্ট এডিটর, ডিসমিসল্যাব

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ২০২৩ সাল জুড়ে এর প্রভাব দেখা গেছে অপতথ্যের মাঠে। বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করা সাতটি ফ্যাক্টচেকিং সাইটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিক অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে যাচাই হওয়া মিথ্যা ও অপতথ্যের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল এবং বাংলাদেশ সংক্রান্ত ভুল তথ্যের অর্ধেকই ছিল রাজনীতি নিয়ে।

বছরজুড়ে ভিডিও ছিল মিথ্যা ছড়ানোর প্রধান কৌশল এবং ভুয়া ভিডিও তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো। বরাবরের মতোই ভুয়া খবরের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল সামাজিক মাধ্যম, যার তুলনায় প্রথাগত গণমাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানোর প্রবণতা অনেক কম ছিল। 

২০২৩ সালে সাতটি ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইটে মোট ২৯৭৭টি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কোনো বিষয়ে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তাদের একটিকে স্বতন্ত্র বা ইউনিক হিসেবে ধরে নিয়ে বিশ্লেষণটি করা হয়েছে। 

এভাবে স্বতন্ত্র প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ২০৮৯টি এবং এদেরকে মোটাদাগে আন্তর্জাতিক, স্থান-নিরপেক্ষ ও বাংলাদেশ শ্রেণীতে ভাগ করার পর দেখা গেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ছড়ানো ভুল তথ্যের ৫১ শতাংশই ছিল রাজনীতি নিয়ে। এর পরেই ছিল যথাক্রমে খেলাধুলা, ধর্ম, বিনোদন ও দুর্যোগের মতো বিষয়।

বাংলাদেশের গণ্ডির বাইরে ইসরায়েল-গাজা দ্বন্দ্ব এবং তুরস্কের ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন দুর্যোগ ভুয়া খবর বিস্তারে বড় প্রভাব রেখেছে। 

রাজনীতি

২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে সবচেয়ে বেশি ভুল ও অপতথ্য ছড়াতে দেখা যায় এবং ঠিক এই সময়টাতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক জোরদার হয়েছিল। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে যাচাইকৃত রাজনৈতিক অপতথ্য সংখ্যায় তিনগুণেরও বেশি (৩২০ শতাংশ) বেড়েছে। এবং পুরো বছরে দেশী-বিদেশী বিষয়াবলী মিলে যত ভুল ও অপতথ্য যাচাই হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশই ছিল রাজনীতি নিয়ে। 

২০২৩ সালের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজনৈতিক অপতথ্যের একটি বড় অংশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক সংঘর্ষ, রাজনীতিবিদদের মৃত্যু সংক্রান্ত ভুয়া খবর বা মানহানিকর তথ্য। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে এগুলোর বাইরে বেশি করে সামনে আসতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত অপতথ্য, যেখানে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মিথ্যা দাবি করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৪ মে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে বলা হয়েছিল: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করেছেন— এমন ব্যক্তিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। রাজনৈতিক অপতথ্য সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে পড়ুন এই বিশ্লেষণ। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত অপতথ্য বাড়তে দেখা যায়। যার প্রভাব দেখা গেছে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে। এই সময়টাতে বাংলাদেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক বা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন জোরদার করেছিল বিএনপিসহ অন্যান্য কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল। এসময় মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ, নির্বাচনকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ঘোষণা, জরুরি অবস্থা জারি, সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা, নির্বাচনের তফসিল বাতিল বা নির্বাচন স্থগিত— এই ধরনের অপতথ্য বেশি ছড়াতে দেখা যায়।

রাজনৈতিক ভুয়া খবরের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে। এসময় তুলনামূলক বেশি ভুয়া খবর দেখা গেছে “প্রার্থিতা প্রত্যাহার” নিয়ে, যেখানে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, কোন একজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং অপর একজনকে সমর্থন দিয়েছেন। এধরনের খবর ব্যাপকভাবে ছড়াতেও দেখা যায়। এধরনের অন্তত দুটি ভুয়া ভিডিওতে এআইয়ের ব্যবহার দেখা গেছে। নির্বাচনী অপতথ্য নিয়ে আরও পড়ুন এখানে।

রাজনীতির বাইরে

ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইটগুলোর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়: ২০২৩ সালে রাজনীতির বাইরে বেশি ভুল ও অপতথ্য ছড়িয়েছে খেলাধুলা, ধর্ম, বিনোদন ও দুর্যোগ বিষয়ে। খেলাধুলা বিষয়ক ভুল তথ্য বেশি ছড়াতে দেখা গেছে ২০২৩ সালের প্রথম ও চতুর্থ প্রান্তিকে। এসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুইটি বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। 

ক্রীড়া: খেলাধুলা জগতের যেসব ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে– তার প্রায় সবই ছিল ক্রিকেট ও ফুটবল সংক্রান্ত। ২০২৩ সালের শুরুতে বেশি ছড়িয়েছে ফুটবল সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য। ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের প্রভাবে ২০২৩ সালের শুরুতে বেশি আলোচনায় ছিল ফুটবলের জগৎ। অন্যদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এসময় বেশি ছড়িয়েছে ক্রিকেট সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য। খেলাধুলা বিষয়ক ভুল তথ্যগুলোর ৩৫ শতাংশ ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াজগত বা খেলোয়াড় সংক্রান্ত।

খেলাধুলা সংক্রান্ত ভুয়া তথ্যগুলোর মধ্যে বেশি দেখা যায় তারকাদের ভুয়া উদ্ধৃতি বা মন্তব্য। যেমন, ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ সিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় উৎসর্গ করেছেন ইসরায়েলের জন্য, বা পেপ গার্দিওলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলেছেন, বা তুরস্কের ফুটবলার নারী রেফারিদের রান্নাঘরে থাকতে বলেছেন।

এ ধরনের ভুয়া উদ্ধৃতি ছাড়াও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবন বা কর্মকাণ্ড নিয়েও ছড়ায় নানাবিধ ভুয়া তথ্য। যেমন, মেসি বা রোনালদো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসাহায্য পাঠিয়েছেন। মেসি সতীর্থদের স্বর্ণের আইফোন উপহার দিয়েছেন, নেইমার অনলাইনে জুয়া খেলে টাকা খুইয়েছেন, ইত্যাদি। এগুলোর বাইরে কোনো খেলোয়াড় বা দলের পরিসংখ্যান, রেকর্ড সংক্রান্ত ভুল তথ্যও দেখা গেছে।

বিনোদন: বিনোদন তারকাদের নিয়েও নানান মিথ্যা তথ্য ছড়াতে দেখা যায় বাংলাদেশে, যেগুলো যাচাই করে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন। এসব ভুয়া তথ্যের একটি বড় অংশজুড়ে আছে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রচারিত নানাবিধ মিথ্যা দাবি। যেমন, টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না অভিনেতা ফারুক, বা ফিলিস্তিনের সমর্থনে ভিডিও প্রকাশ করেছেন ভারতের অভিনেতা হৃত্বিক রোশনঅক্ষয় কুমার। তারকাদের সম্পাদনা করা ছবি-ভিডিও এবং মৃত্যু গুজবও আছে এ ধরনের ভুয়া তথ্যের উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে। ফ্যাক্টচেকিং ডেটা অনুযায়ী, বিনোদন তারকাদের নিয়ে যেসব ভুয়া ছবিভিডিও ছড়িয়েছে তার প্রায় ৬ শতাংশ এআই ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। 

ধর্ম: খেলাধুলার পর বাংলাদেশে বেশি ভুয়া তথ্য ছড়াতে দেখা গেছে ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। এর একটি বড় অংশজুড়ে ছিল ইসলামী বক্তা জাকির নায়েক, আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সালেহ আহমাদ তাকরীমের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মিথ্যা দাবি। যেমন দাবি করা হয়েছে তাকরিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বা উপহার দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধরনের একাধিক মিথ্যা দাবির পেছনে ছিল ইউটিউব ভিডিও থেকে অর্থ আয়ের প্রচেষ্টা। 

ধর্মান্তর সংশ্লিষ্ট বিষয়, বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার দাবি নিয়েও নানাবিধ ভুয়া তথ্য ছড়াতে দেখা যায় ধর্ম প্রসঙ্গে। যেমন, দাবি করা হয়েছে যে, ডাচ ফুটবলার রবিন ভন পার্সি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বা যুক্তরাষ্ট্রে ৭ লাখ খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এছাড়া আল আকসা মসজিদে ফেরেশতা দেখা গেছে, নবজাতক শিশুর মুখে আল্লাহর বাণী শোনা যাচ্ছে– এ ধরনের অলৌকিক ঘটনার দাবি নিয়েও ছড়ায় নানান ভুয়া তথ্য।

দুর্যোগ ও অন্যান্য: বৈশ্বিকভাবে সাড়া জাগানো কোনো ঘটনার পর সেই সংক্রান্ত নানাবিধ ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতাও দেখা গেছে ২০২৩ সালে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে। যেমন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের দ্বন্দ্ব-সংঘাত শুরুর পর এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভুল ও অপতথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্যাক্টচেকিং সংগঠনগুলো। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে যে ৯৮টি ইউনিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই প্রকাশিত হয়েছে চতুর্থ প্রান্তিকে। এবং সেগুলোর প্রায় সবই ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে। 

একই রকম চিত্র দেখা যায় বড় ধরনের ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের ভূমিকম্প, মার্চে নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প, মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় ছড়াতে দেখা গেছে এ সংক্রান্ত নানাবিধ ভুয়া তথ্য। 

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দুর্যোগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। এই সময়টাতেই (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যেখানে প্রাণ হারিয়েছিল ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। মে মাসে আবার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে। এসময় শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হেনেছিল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে। 

দুর্যোগ সংক্রান্ত এসব ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে যে সাধারণ প্রবণতাটি দেখা যায়, তা হলো পুরোনো বা অন্য কোনো স্থানের ছবিভিডিও শেয়ার করা হয় সাম্প্রতিক দুর্যোগের দাবি করে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই নয়, বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোও দুর্যোগ সংক্রান্ত খবর প্রচারের সময় ব্যবহার করে পুরোনো ছবি-ভিডিও। 

ভুয়া তথ্যের উৎস ও মাধ্যম

নিচের চার্টে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে যত ভুয়া তথ্য যাচাই হয়েছে তার ৮৬ শতাংশেরই উৎস ছিল সামাজিক মাধ্যম প্লাটফর্মগুলো, বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউব। এই প্লাটফর্মগুলোতে পোস্ট করা স্ট্যাটাস, ছবি ও ভিডিও থেকে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য এসেছে। বাংলাদেশের প্রথাগত গণমাধ্যম, যেমন পত্রিকা, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালগুলো ১২.৫ শতাংশ ভুয়া তথ্যে অবদান রেখেছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিল ভিডিও। ৩৯ শতাংশ ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছে ভিডিওর মাধ্যমে। এরপরেই আছে ছবি (২৩%) ও গ্রাফিক কার্ডের (১৫%) ব্যবহার। তৃতীয় প্রান্তিক থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে ভিডিওর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর পরিমান বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। 

একইসঙ্গে বাড়তে দেখা গেছে গ্রাফিক কার্ডের ব্যবহারও। ২০২৩ সালের প্রতি প্রান্তিকেই বেড়েছে গ্রাফিক কার্ডের ব্যবহার। তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চতুর্থ প্রান্তিকে এটির ব্যবহার বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। অনেক ক্ষেত্রেই এসব গ্রাফিক কার্ড বানানো হয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমের লোগো বসিয়ে বা ব্র্যান্ডিং নকল করে। এ নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ পড়ুন এখানে

আরো কিছু লেখা