পার্থ প্রতীম দাস
বানোয়াট তথ্য: অপতথ্য প্রচারের শিকার যখন মূলধারার গণমাধ্যম
পার্থ প্রতীম দাস
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ দিয়ে অপতথ্য প্রচারের অন্যতম কৌশল হিসেবে দেখা গেছে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের আদলে তৈরি করা বিভিন্ন ভুয়া তথ্য। ডিসমিসল্যাবের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভুয়া স্ক্রিনশট, ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড, লোগো, ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করে রাজনৈতিক অপতথ্য প্রচারের প্রবণতা বেড়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত, সাতটি ফ্যাক্টচেকিং সাইটে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে: সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে যে ১৪৮টি ভুয়া ও অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে— তার ৭১ শতাংশই ছিল রাজনীতি সংক্রান্ত। বাকিগুলো ছিল খেলাধুলা, শিক্ষা ও বিনোদন সংক্রান্ত। এই সময়পর্বে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যেসব ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে, তার ১৩ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করার কৌশল।
রাজনীতিবিদের ভুয়া উদ্ধৃতি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, মানহানিকর তথ্য প্রচার, রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রচার— এসব ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে সংবাদমাধ্যমের নামে ছড়ানো রাজনৈতিক অপতথ্যগুলো। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এগুলো সত্যিকারের সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দেয়।
উপরের চার্ট থেকে দেখা যায়: সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে ছড়ানো অপতথ্যের পরিমাণ প্রতি প্রান্তিকেই বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংখ্যাটি দ্বিগুন হয়েছে, এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে সংখ্যাটি বেড়েছে তিনগুন। চতুর্থ প্রান্তিকের প্রথম দুই মাসে (অক্টোবর ও নভেম্বর) এমন অপতথ্য বেড়েছে আরও ৩৮ শতাংশ।
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের আদলে অপতথ্য তৈরি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন কোনো বিষয় নয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগ দিয়ে দেখা গিয়েছিল কয়েকটি সুপরিচিত সংবাদমাধ্যমের মতো করে বানানো নকল ওয়েবসাইট। পাঁচ বছর পর, সংবাদমাধ্যমের কন্টেন্ট নিয়ে কারসাজি করার বিষয়টি পৌঁছেছে নতুন মাত্রায়। যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে আরও উন্নত সব কৌশল। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদমকে কাজে লাগিয়ে সেগুলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে আরও বেশি মানুষের কাছে।
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2024/01/December-Edition-Newsletter-Dismislab-1-1331x1536-1.jpg?resize=887%2C1024&ssl=1)
কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক: অর্থপাচারের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী লন্ডনে গ্রেপ্তার হয়েছেন— এমন একটি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছিল আল জাজিরার প্রতিবেদনের নকল স্ক্রিনশট তৈরি করে। ডিসমিসল্যাব পরবর্তীতে এটি যাচাই করে দেখিয়েছিল যে, কীভাবে আল জাজিরা ওয়েবসাইটের সোর্স কোডে কারসাজি করে মিথ্যা সংবাদটি তৈরি করা হয়েছিল। আল জাজিরা ওয়েবসাইটের অন্যান্য সংবাদের ফন্ট, লেআউটের সঙ্গে মিল রেখে এই ভুয়া সংবাদটি তৈরি করা হয়েছিল এবং সেটির স্ক্রিনশট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল।
এতো জটিলতায় না গিয়ে আরও সহজ উপায়ে অপতথ্য তৈরির অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়, যেখানে সংবাদমাধ্যমের পাতা, প্রতিবেদন বা সোশ্যাল মিডিয়া কার্ডের কিছু অংশ সম্পাদনা করে নতুন কিছু যুক্ত করা হয়েছে। যেমনটি দেখা যায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তৈরি একটি ভুয়া সংবাদের ক্ষেত্রে। এখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম, আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতার কিছু অংশ বদলে দেওয়া হয়েছিল। পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছিল যে, জোর করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলেছেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এমন দাবিকে মিথ্যা উল্লেখ করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, মিথ্যা এই ভাষ্য তৈরির জন্য আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার একটি ছবি ও সংবাদ শিরোনাম বদলে দেওয়া হয়েছে।
দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদও সম্পাদনা করা হয়েছিল একই রকম কায়দায়। মূল সংবাদটির শিরোনাম ছিল “সভা সমাবেশে ভাড়াটে কর্মী রেট পুরুষ ৪০০ নারী ৬০০”। এখানে সম্পাদনার মাধ্যমে শুধু সভার পরিবর্তে “বিএনপির” শব্দটি যুক্ত করা হয়েছিল। এভাবে এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল “বিএনপির সমাবেশে ভাড়াটে কর্মীর রেট পুরুষ ৪০০ নারী ৬০০”।
মানুষ কেন এ ধরনের ভুয়া স্ক্রিনশট বিশ্বাস করে— এ প্রসঙ্গে পয়েন্টারে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, এগুলো মানুষের কাছে সত্যি মনে হয় কারণ তারা স্ক্রিনশটকে বিবেচনা করেন এমন একটি ইঙ্গিত হিসেবে, যেখানে ‘সত্য’ কোনো বিষয় উন্মোচন করা হয়েছে। “প্রতারকেরা এমন বিবেচনাকে কাজে লাগান মিথ্যা প্রচারের জন্য। এবং মূল স্ক্রিনশটটি যদি খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে মানুষ ধরে নেয় যে এটি মুছে দেওয়া হয়েছে।”
গ্রাফিক কার্ডে কারসাজি ও ভুয়া উদ্ধৃতি
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2024/01/December-Edition-Newsletter-Dismislab-3.jpg?resize=936%2C1024&ssl=1)
গত আগস্টে, “সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী” শিরোনামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড প্রচার করেছিল একাত্তর টেলিভিশন। এই কার্ডটি সম্পাদনা করে বাক্যটির আগে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল “পদত্যাগের ঘোষণা নিয়ে”। ফলে কার্ডটি প্রচারিত হয়েছিল “পদত্যাগের ঘোষণা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী” হিসেবে।
সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে এরকম মিথ্যা তথ্য প্রচারের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ বা জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে ভুয়া উদ্ধৃতি প্রচারের চিত্রও দেখা যায়। যাচাইকৃত প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম বিকৃত করে বা ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি ভুয়া উদ্ধৃতি ছড়ানো হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে, ১২টি। এরপরেই আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৫টি) ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রিটি হিরো আলম (৪টি)। সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নামেও ছড়িয়েছে ৩টি ভুয়া উদ্ধৃতি।
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2024/01/December-Edition-Newsletter-Dismislab-2-1024x512-1.jpg?resize=1024%2C512&ssl=1)
গত অক্টোবরে প্রথম আলোর সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড ব্যবহার করে মির্জা ফখরুল ইসলামের নামে ছড়ানো এমন একটি ভুয়া উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছিল: “আগামী ১৮ অক্টোবরের সমাবেশে সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে হাতে চুড়ি পরবো: মির্জা ফখরুল”। এই উদ্ধৃতিকে সত্য ধরে নিয়ে পরবর্তীতে নানাবিধ ট্রোলিং ও কার্টুনও দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন কিছু কার্টুন পোস্ট করা হয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও। পরবর্তীতে সমালোচনার কারণে সেটি পেজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিতে, চুরি পরার বিষয়টি এমন একটি প্রতীক, যা নারীদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করে বোঝানো হয় যে সেই ব্যক্তি শক্তসমর্থ্য বা বলিষ্ঠ নন। “চুরি পরা” প্রত্যয়টি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্বলতার প্রকাশ বুঝিয়ে শুধু পুরুষদের অপমান নয় বরং নারীদেরও দুর্বল বলে অবমাননা করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহারের ধরন
সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়ানোর প্রধান তিনটি কৌশল লক্ষ্য করা গেছে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে:
(১) সূত্র উল্লেখ: যেখানে শুধু কোনো সংবাদমাধ্যমের সূত্র উল্লেখ করে ভুয়া তথ্য প্রচারিত হয়েছে। যেমন, সূত্র: ইনকিলাব বা তথ্যসূত্র: কালবেলা।
(২) প্রকাশিত সংবাদ বা সংবাদপত্রের পাতা সম্পাদনা: এই পদ্ধতিতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের শিরোনাম বা টেক্সট সম্পাদনা; সংবাদপত্রের পাতা সম্পাদনা; অথবা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত কোনো সংবাদের টেক্সট সম্পাদনার মাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে।
(৩) সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড সম্পাদনা: এক্ষেত্রে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোর সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ড সম্পাদনা করে।
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2024/01/Group-2.png?resize=1024%2C347&ssl=1)
তিনটি কৌশলের মধ্যে অপতথ্য ছড়ানোর তৃতীয় কৌশলটিই বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে। এবছরের প্রথম ১১ মাসে সংবাদপত্রের নাম ব্যবহার করে ছড়ানো ১৪৮টি ভুয়া বা অপতথ্যের মধ্যে ৬৫ শতাংশই ছিল সোশ্যাল মিডিয়া কার্ড সম্পাদনা করে তৈরি করা।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম তাদের সংবাদগুলো প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফটোকার্ড আকারে। যেখানে সংবাদের শিরোনাম বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য, উদ্ধৃতির সঙ্গে ছবি দিয়ে সেটি উপস্থাপন করা হয়। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ফটোকার্ডে কারসাজি করার মাধ্যমে অপতথ্য আরও শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। “এ পিকচার পেইন্টস এ থাউজেন্ড লাইজ? দ্য ইফেক্টস অ্যান্ড মেকানিজম অব মাল্টিমডাল ডিসইনফরমেশন অ্যান্ড রিবুটালস ডিসিমিনেটেড ভায়া সোশ্যাল মিডিয়া” শীর্ষক গবেষণাপত্রে যেমনটি বলা হয়েছে, “শুধু শব্দ বা বাক্য দিয়ে তৈরি অপতথ্যের তুলনায় টেক্সট ও ভিজ্যুয়াল যুক্ত অপতথ্য বেশি বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।”
গবেষণাটিতে আরও বলা হয়েছে, “টেক্সটের তুলনায় ভিজ্যুয়ালগুলো বাস্তবতার আরও বেশি সরাসরি উপস্থাপন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একারণে এগুলো অপতথ্য প্রচারকারীদের জন্য হয়ে উঠতে পারে শক্তিশালী টুল। বিশেষ করে যখন ছবিতে কারসাজি করা ক্রমেই সহজ হয়ে উঠছে।”
কারসাজির শিকার যারা
সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে তৈরি করা অপতথ্য তাদের পাঠক-দর্শকদের ভুল তথ্য জানায় ও বিভ্রান্ত করে। তবে এর অন্যতম প্রধান শিকার সংবাদমাধ্যম নিজেই। ডিসমিসল্যাবের বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র, প্রথম আলোর নাম ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়িয়েছে সবচেয়ে বেশি। সংবাদমাধ্যমের কন্টেন্টে কারসাজি করে বানানো মোট অপতথ্যের ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে প্রথম আলোর নাম। এরপরেই আছে বাংলাদেশের আরেকটি সংবাদপত্র কালবেলা। তাদের নামে ছড়িয়েছে এ ধরনের ১৯ শতাংশ অপতথ্য।
তিনটি টিভি চ্যানেল, সময় টিভি, একাত্তর টিভি ও ডিবিসি নিউজের পাশাপাশি আজকের পত্রিকা ও ডেইলি স্টারের মতো দৈনিক সংবাদপত্রকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে অপতথ্য ছড়ানোর জন্য। জনপ্রিয়তা ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতি বিবেচনা করেই এসব সংবাদমাধ্যমকে এমন কারসাজির লক্ষ্য বানানো হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতির ক্ষেত্রে উল্লিখিত বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমই আছে শীর্ষ অবস্থানে।
রয়টার্স ইনস্টিটিউটের ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট থেকে দেখা যায় অনলাইনে সংবাদ পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নির্ভরতা ক্রমে বাড়ছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় মূলধারার সংবাদমাধ্যমের নামে প্রচারিত কোনো ভুয়া তথ্য সহজে বিশ্বাস করে ফেলার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বেশি করে। এটি শুধু পাঠক-দর্শকদের আরও বেশি করে অপতথ্যের মুখে ফেলছে না, একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ভুয়া তথ্য ও মিথ্যা সংবাদ নিয়ে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের একটি গবেষণায় যেমনটি বলা হয়েছে, “সাংবাদিকতাসুলভ কোনো পণ্যের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা ভুয়া তথ্য আসল সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমিয়ে দিতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এ ধরনের কারসাজি করা সংবাদ গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।”