মিনহাজ আমান
যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো ভিডিওকে ঘূর্ণিঝড় মোখার নামে প্রচার
মিনহাজ আমান
ছোট একটি রাস্তার ধারে প্রবল বেগে ঝড় হচ্ছে, গাছপালা উড়ে যাচ্ছে– এমন একটি ভিডিও দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, এটি সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের দৃশ্য। কিন্তু দাবিটি সত্য নয়। ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা গেছে, ঝড়ের ভিডিওটি পুরনো এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যে এক টর্নেডোর সময় ধারণ করা হয়েছিল।
১৩ মে থেকে একাধিক ফেসবুক পেজে এই ভিডিওর সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কিত পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। ১৩ মে রাত ৮টার দিকে ভয়েস অফ বাংলাদেশ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোষ্ট করা হয়। এছাড়াও আজ, ১৪ মে আরও কিছু ফেসবুক পেজ থেকে একই দাবিতে পোষ্ট করা হয়েছে।
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2023/05/Cyclone-Mokha-Old-video-FB-Screenshot.jpg?resize=1024%2C538&ssl=1)
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্নিঝড় আজ (১৪ মে) দুপুর তিনটায় বাংলাদেশ অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
কিফ্রেম সার্চ করে দেখা যায়, প্রবল ঝড়ের এই ভিডিওটি বাংলাদেশেরই নয়। এটি মূলত ২০১৬ সালের ৯ মে, যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যের উইনউড শহরে আঘাত হানা একটি টর্নেডোর ভিডিও। ডি. ম্যাকগাভান নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পাওয়া গেছে, যেটি আপলোড করা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মে। ইউটিউবের এই ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “হান্ড্রেড ইয়ার্ডস অ্যাওয়ে ভায়োলেন্ট স্টোভপাইপ ইএফ-ফোর টর্নোডো – নিয়ার ক্যাটি- উইনউড, ওকে – মে নাইন, ২০১৬”।
বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভিডিওটি ধারণ করেন ড্যারিন ব্রুনিন ও ডিক ম্যাকগাভান। এবং এটি ছিল সেখানকার এক টর্নেডোর দৃশ্য। মূল ভিডিওটি ৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের। সেখান থেকে ৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড থেকে পরবর্তী ১৯ সেকেন্ডের অংশটিকে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখা সংশ্লিষ্ট দৃশ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে।
![](https://i0.wp.com/dismislab.com/wp-content/uploads/2023/05/Cyclone-Mokha-Old-video-YT-Screenshot.jpg?resize=1024%2C785&ssl=1)
আরও সার্চ করে যুক্তরাষ্ট্রের একই জায়গার, একই দিনের একটি টর্নেডোর স্থির ছবিও পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১৩ মে এটি আপলোড করা হয়েছিল ছবি শেয়ারিংয়ের ওয়েবসাইট, ফ্লিকারে। সেখানেও ক্যাপশনে বলা হয়েছে, ছবিটি ২০১৬ সালের ৯ মে উইনউড শহরের একটি টর্নোডোর। এটি আপলোড করেছিলেন ডিক ম্যাকগাভান। ইউটিউবের মূল ভিডিও চ্যানেলটিও এই একই ব্যক্তির নামে।
২০১৬ সালের ৯ মে প্রকাশিত সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওকলাহোমার সেই ঘূর্নিঝড়ে অন্তত ২ জন নিহত হন।