তৌহিদুল ইসলাম রাসো
গণমাধ্যমে ব্রাজিলের ‘ফিলস লাইক’ তাপমাত্রাকে রেকর্ড তাপমাত্রা বলে প্রচার
তৌহিদুল ইসলাম রাসো
তীব্র তাপদাহ দেখছে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলের অন্যতম বড় শহর রিও ডি জেনিরো। আর তা নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যম (১, ২, ৩, ৪, ৫)। বলা হচ্ছে ১৭ মার্চ রবিবার রিও ডি জেনিরোর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে যাচাইয়ে দেখা গেছে দাবিটি সঠিক নয়।
যাচাইয়ে দেখা যায়, রিও ডি জেনিরোর তাপমাত্রা ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়নি বরং সেটি বাতাসের আর্দ্রতা বিবেচনায় ছিল ফিলস লাইক সূচক।
ব্রাজিলের তাপমাত্রা ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উল্লেখ করে অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করে মূলধারার গণমাধ্যম সময় টিভি ও যুগান্তর। আল জাজিরার বরাতে বলা হয় রোববার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ডিসমিসল্যাব ব্রাজিলের তাপমাত্রা নিয়ে আল জাজিরার সংবাদটি যাচাই করে দেখে সেখানে তাপমাত্রা নয়, বরং হিট ইনডেক্স তথা তাপসূচকের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার সকালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর তাপসূচক ছিল ৬২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ব্যাখ্যা দিয়ে আল জাজিরা বলেছে বাতাসের আর্দ্রতা বিবেচনা করে তাপমাত্রা কেমন অনুভূত হয় তার পরিমাপই হলো তাপসূচক। এক কথায়, ‘ফিলস লাইক তাপমাত্রা’-কেই তাপসূচক বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে। স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ রিও এলার্ট জানায়, সোমবার রিও ডি জেনিরোর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াও তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিলের ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস দাবদাহ ছিল বাতাসের আর্দ্রতা বিবেচনায় ‘ফিলস লাইক তাপমাত্রা’।
বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমও (১, ২) তাদের সংবাদে ‘ফিলস লাইক তাপমাত্রা’ উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তবে ফিলস লাইক তাপমাত্রা উল্লেখ না করে সেটিকে রেকর্ড তাপমাত্রা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বাংলাদেশের আরও কয়েকটি গণমাধ্যম (১, ২)। এই তালিকায় পড়ে কালবেলাও। তাদের অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদন এবং ফেসবুকে পেজের ভিডিও রিপোর্টে ৬২.৩ ডিগ্রি তাপসূচককে তাপমাত্রা হিসেবে দেখানো হয়।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে এটি রেকর্ড করা হয়।