আবরার ইফাজ

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব
বিশ্বব্যাংকের ৯০০ মিলিয়ন ঋণ: বিলিয়নে আনতে গিয়ে গণমাধ্যম যে ভুল করল

বিশ্বব্যাংকের ৯০০ মিলিয়ন ঋণ: বিলিয়নে আনতে গিয়ে গণমাধ্যম যে ভুল করল

আবরার ইফাজ

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব

“বাংলাদেশকে ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিল বিশ্বব্যাংক”- এমন শিরোনামে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে (, )। বিশ্বব্যাংকের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে তারা এই সংবাদ প্রকাশ করে। যাচাইয়ে দেখা যায় ৯০ বিলিয়ন ডলার নয়, ঋণের পরিমাণ হবে ৯০ কোটি। 

এক বিলিয়ন হয় ১ হাজার মিলিয়নে। তাই ৯০ বিলিয়ন হয় ৯০ হাজার মিলিয়নে। আর বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৯০০ মিলিয়ন।

২১ জুন তারিখে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রেস রিলিজে জানানো হয় বিশ্বব্যাংক থেকে দুইটি প্রকল্পে মোট ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা ( প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসেবে)। অন্যান্য গণমাধ্যমেও এটি নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় (, , , )। টেকসই প্রবৃদ্ধির অর্জনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক ও নাগরিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এই ঋণ দিয়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

তবে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুলবশত মোট ঋণের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। ভুল সংখ্যা উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে ডলারের ক্ষেত্রে ভুল সংখ্যা উল্লেখ করলেও টাকার হিসেবটি ঠিক ছিল। এর মধ্যে এনটিভি তাদের ভুল ইতিমধ্যে ঠিক করে নিয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গণমাধ্যমের এই ভুল নিয়ে বিদ্রুপাত্মক পোস্ট শেয়ার হতেও দেখা যায় (, , )।

গণমাধ্যমে এ ধরণের সংখ্যাগত ভুলের ঘটনা নতুন নয়। যেমন, চলতি বছরের ২৭ মার্চ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) তাদের খাদ্য অপচয়সূচক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বে ২০২২ সালে ১.০৫ বিলিয়ন (১০৫ কোটি) টন ব্যবহারযোগ খাবার অপচয় হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো কোনো গণমাধ্যমে লিখা হয় “বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয় বাড়িঘরে: জাতিসংঘ”। এরপর এ নিয়ে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডিসমিসল্যাব।

আরো কিছু লেখা