আহমেদ ইয়াসীর আবরার

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব
মেটার নীতিমালা ভেঙে বিদেশি গণমাধ্যমের নামে ফেসবুক পেজ, চলেছে বিজ্ঞাপন

মেটার নীতিমালা ভেঙে বিদেশি গণমাধ্যমের নামে ফেসবুক পেজ, চলেছে বিজ্ঞাপন

আহমেদ ইয়াসীর আবরার

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব

বিদেশি গণমাধ্যমের নাম-লোগো ব্যবহার করে ফেসবুকে চলতে দেখা গেছে বেশ কিছু পেজ। এর মধ্যে কিছু পেজ বেশ জনপ্রিয়। আবার কিছু পেজ থেকে চলতে দেখা গেছে বিজ্ঞাপন। কোনো ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে এমন বিভ্রান্তি তৈরি করে পেজ পরিচালনা করা মেটার নীতিমালা লঙ্ঘন করে। তবে নীতিমালা লঙ্ঘন করেও সক্রিয় আছে এই পেজগুলো। ডিসমিসল্যাব দেখেছে আল-জাজিরা, রয়টার্স, জি নিউজ, জিও নিউজ-এর নাম ও লোগো ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এসব ভুয়া পেজ।

এর মধ্যে কিছু পেজে বিজ্ঞাপনও প্রচার করতে দেখা যায়। পাকিস্তান ও ভারতের গণমাধ্যম জিও নিউজ ও জি নিউজের নাম-লোগো ব্যবহার করে তৈরি করা দুটি পেজ (জিও নিউজ বাংলা ও জি নিউজ বাংলা) থেকে সরাসরি চালানো হয়েছে বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপন ছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আন্দোলনের পক্ষে, যেখানে এনবিআর চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করতে দেখা যায়।

বিদেশি গণমাধ্যমের নাম ও লোগো ব্যবহার করে চলছে পেজ

ফেসবুকে আল জাজিরা সার্চ করে ডিসমিসল্যাব এমন অন্তত ২৭টি পেজ খুঁজে পেয়েছে, যেখানে গণমাধ্যমটির নাম-লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। 

এর মধ্যে “আল-জাজিরা বাংলা” নামের একটি পেজ বেশ জনপ্রিয়, যার লাইক সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার এবং ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৯৪ হাজার। পেজটির অ্যাডমিনের অবস্থান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। পেজটির অ্যাবাউট সেকশনে যে মোবাইল নাম্বার যুক্ত থাকতে দেখা যায়, সেটিও সংযুক্ত আরব আমিরাতের। এটি তৈরি করা হয়েছে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর। পেজটির রিভিউয়ে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এটা একটা ফেইক পেইজ বিভিন্ন পেইজ থেকে ভিডিও চুরি করে এনে আল জাজিরা বাংলা বলে চালাচ্ছে।” 

১ জুলাই, পেজটির সর্বশেষ ৫০টি পোস্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এগুলোর অধিকাংশই ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে। বাংলাদেশ কেন্দ্রিক সংবাদও পাওয়া যায় ৫টি। ৫০টি পোস্টের প্রতিটিতে গড়ে কমেন্ট করা হয়েছে ১৯টি এবং প্রতিটি পোস্টে গড়ে দেখা গেছে ১ হাজারের বেশি রিয়েকশন ও ১৩৪টি শেয়ার। অর্থাৎ, পেজটি যথেষ্ট জনপ্রিয়।

পেজটি থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ভিডিও ও ছবি (ফটোকার্ড) পোস্ট করা হয়। প্রত্যেকটি ভিডিও ও ছবিতে আল জাজিরার লোগো ব্যবহার করা হয়েছে এবং আল-জাজিরা বাংলা লেখাটি যুক্ত করা হয়েছে।

আল-জাজিরার নাম-লোগো ব্যবহার করে বানানো আরেকটি পেজ পাওয়া যায়, যেটি তৈরি করা হয় চলতি বছরের ১৬ জুনে। পেজটিতে থেকে এখন পর্যন্ত কোন পোস্ট না পাওয়া গেলেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেজের প্রচারণা চালাতে দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যে পেজটির লাইক সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এমন অন্তত আরও ডজনখানেক পেজ পাওয়া যায় যেখানে আল-জাজিরার নাম এবং লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এমন দুইটি পেজে (, ) দেখা যায় ১০ হাজারের বেশি লাইক। 

এই পেজগুলো সম্পর্কে আল-জাজিরার বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ডিসমিসল্যাবকে জানান যে আল-জাজিরার কোনো বাংলা পেজ নেই। । তিনি আরও জানান আরবি এবং ইংরেজি ছাড়া আল-জাজিরার অন্য কোনো ভাষায় কার্যক্রম নেই।

বিদেশি গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এমন আরেকটি পেজ হলো “রয়টার্স বাংলা”। চলতি বছরের ২৫ মে তারিখে খোলা এই পেজটির লাইক সংখ্যা ৭ এবং ফলোয়ার সংখ্যা ২২। পেজটির প্রোফাইলে রয়টার্সের লোগো ব্যবহার করতে দেখা যায়। 

গণমাধ্যমের নাম-লোগো ব্যবহার করে তৈরি পেজ থেকে বিজ্ঞাপন

ভারত ও পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষ দুইটি সংবাদমাধ্যম জি নিউজ ও জিও নিউজের নাম-লোগো ব্যবহার করে তৈরি দুইটি ভুয়া পেজ থেকে চলতে দেখা গেছে বিজ্ঞাপন। এসব বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আন্দোলনের পক্ষে প্রচারণার জন্য।

এবছরের ১২ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নামের সংস্থাটি বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুইটি বিভাগ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পরপরই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নামের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর প্রেক্ষিতে ২৫ মে এনবিআর বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। এরপর এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। গত ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা তাদের চলমান আন্দোলন বন্ধের ঘোষণা দেন। এই আন্দোলন চলার সময় জি নিউজ বাংলা ও জিও নিউজ বাংলা নামের দুইটি পেজ থেকে বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে ফেসবুকে।  

পাকিস্তানের গণমাধ্যম, জিও নিউজের নাম-লোগো অনুকরণ করে ‘জিও নিউজ বাংলা’ নামের পেজটি তৈরি করা হয় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে। তবে এখানে প্রথম যে পোস্টটি দেখা যায়, তা ছিল এবছরের ৫ মার্চে। পেজটিতে এখন পর্যন্ত পোস্ট পাওয়া যায় ৩৭টি। ১৭ মে পেজটির প্রোফাইল ছবি আপডেট করা হয় যেখানে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের লোগো ব্যবহার করে ‘জিও নিউজ বাংলা’ নামটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। পেজটির বিষয়ে জানতে জিও নিউজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জিও নিউজের মুখপাত্র ডিসমিসল্যাবকে জানান, “এটি ভুয়া। এই পেজের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।” পেজটির লাইক সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৪১ এবং ফলোয়ার সংখ্যা ৩০০।

ভারতীয় গণমাধ্যম, জি নিউজের নাম-লোগো অনুকরণ করে ‘জি নিউজ বাংলা’ নামের পেজটি তৈরি করা হয়েছে এবছরের ৩০ মে। একই দিনে পেজটি তার প্রোফাইল ছবি আপডেট করে যেখানে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের লোগো ব্যবহার করতে দেখা যায়। এরপরের পোস্টটিই এনবিআরের চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আন্দোলন থেকে চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার পর তিনি পুলিশি নিরাপত্তায় দপ্তরে প্রবেশ করেন। পেজটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬টি পোস্ট পাওয়া যায় যার মধ্যে ১৩টিই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে কেন্দ্র করে দেওয়া হয়েছে। পেজটির লাইক সংখ্যা ১০ এবং কোনো ফলোয়ার নেই।

জিও নিউজ বাংলা ও জি নিউজ বাংলা—দুইটি পেজ থেকে চালানো প্রায় সব বিজ্ঞাপনই ছিল এনবিআর-কেন্দ্রিক চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে। এর মধ্যে জিও নিউজ বাংলা পেজের বিজ্ঞাপনগুলোকে চিহ্নত করা হয়েছে ‍“সামাজিক ইস্যু, নির্বাচন বা রাজনীতি” ক্যাটাগরিতে।

জিও নিউজ বাংলা পেজটি থেকে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে ৪৬টি, যার মধ্যে অন্তত ২৮টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে এনবিআর সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে- বিশেষ করে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি বিজ্ঞাপনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন খরচের সংখ্যার গড় করে বলা যায় জিও নিউজ বাংলা পেজের বিজ্ঞাপনগুলোর পেছনে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে আনুমানিক ৯৮০৭৭ টাকা এবং প্রতি বিজ্ঞাপনে আনুমানিক গড় খরচ হয়েছে ২১৩২ টাকা।

‘জিও নিউজ বাংলা’ এবং ‘জি নিউজ বাংলা’ পেজ দুটির মধ্যে অন্তত দুটি পোস্ট মিল পাওয়া যায় যার একটিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানের ছবি এবং ১৫ জন আমলার ছবি, নাম ও পদ সংযুক্ত করে লেখা “ফ্যাসিস্টের দোসর এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান এর আয়কর বিভাগের সহযোগীদের চিনে নিন” এবং অন্যটিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান অপসারণ না হলে ২৮ জুন থেকে লাগাতার শাটডাউনের হুমকি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের- এমন বক্তব্য দেখা যায় । মিল থাকা পোস্ট দুটি পেজগুলো থেকে একই দিনে শেয়ার হয়।

গত ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়। ‘জিও নিউজ বাংলা’ পেজ থেকে শেষ বিজ্ঞাপনটি চালানো হয় ২৮ জুন থেকে। বর্তমানে পেজটি আর সক্রিয় নেয়। মেটা অ্যাড লাইব্রেরিতে বলা হচ্ছে পেজটি হয় আনপাবলিশড হয়েছে অথবা ডিলেট করা হয়েছে। একই সঙ্গে এনবিআর সংস্কার বিষয়ক আন্দোলন নিয়ে বিজ্ঞাপন চালানো আরেকটি পেজ ‘জি নিউজ বাংলা’ও এখন আর সক্রিয় নেই।

জি নিউজ বাংলা” নামের আরেকটি পেজ পাওয়া যায় ফেসবুকে যা তৈরি করা হয় ২০১৭ সালের ৪ জুলাই। পেজটির লাইক সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার এবং ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। পেজটির ক্যাটাগরি হিসেবে ‘মিডিয়া/নিউজ কোম্পানি’ উল্লেখ করলেও এটিকে মূলত বিনোদনমূলক ভিডিও ও ছবি শেয়ার করতে দেখা যায়। পেজটির বায়োতে “www.news-bd.net” নামের একটি গণমাধ্যমের লিংক যুক্ত থাকলেও, ক্লিক করলে দেখা যায় লিংকটি কাজ করছে না।

নীতি ভেঙেই চলছে এই পেজগুলো

ফেসবুকে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে নকল করা বা মিথ্যাভাবে প্রতিনিধিত্ব করা যাবে না বলে বলা হচ্ছে মেটার পলিসিতে। মেটা বলছে এমন কোন প্রোফাইল ফেসবুকে অনুমোদিত না, যেটি নাম বা প্রোফাইল ছবির মাধ্যমে অন্য কারো প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে বা প্রতারিত করতে পারে। 

জিও নিউজ বাংলা, জি নিউজ বাংলা, আল-জাজিরা বাংলা এবং রয়টার্স বাংলা– এ ধরনের পেজগুলো স্পষ্টভাবে এই নীতিমালা ভঙ্গ করলেও ফেসবুক এগুলো শনাক্ত করতে পারছে না। আবার এমন কিছু পেজ থেকে বিজ্ঞাপনও চলতে দেখা গেছে। 

শুধু ফেসবুক নয়, সংবাদমাধ্যমের নাম-লোগো নকল করে তৈরি করা চ্যানেল দেখা যায় ইউটিউবেও। ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিলে প্রকাশিত ডিসমিসল্যাবের একটি প্রতিবেদনে এ ধরনের ৫৮টি ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করা হয়েছিল, যারা বিবিসি, আল জাজিরা, এবিসি, রয়টার্সসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের লোগো-ব্র্যান্ডিং নকল করে বাংলা ভাষায় ভিডিও আপলোড করছে।

সংবাদমাধ্যমের নামে তৈরি এসব পেজ বা চ্যানেল থেকে প্রচারিত কন্টেন্ট মানুষের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠার ঝুঁকি তৈরি করে। ২০১৮ সালে প্রকাশিত ইউনেস্কোর একটি গবেষণপত্রের উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “কোনটাকে সংবাদ বলে বিবেচনা করা হবে— তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোর গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সীমিত। ফলে এখানে স্বীকৃত কোনো সংবাদমাধ্যমকে নকল করা খুবই সহজ এবং এর ফলে কোনো প্রতারণাকেও মনে হতে পারে সত্যি জিনিস।”

সুপরিচিত সংবাদ মাধ্যমের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক পেজ চালানোর বিষয়ে ২০২০ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পশ্চিম আফ্রিকার তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ডুবাওয়া। এই ধরনের পেজ থেকে অপতথ্য ছড়ানো হয়েছিল বলে জানায় ডুবাওয়া। এএফপির ফ্যাক্টচেকার সেগুন ওলাকোয়েনিকান ডুবাওয়াকে বলেন, যখন তারা অপতথ্য ছড়ায় ও সেগুলো ফ্যাক্টচেক হয় এবং মানুষ তাদেরকে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য চিহ্নিত করে, মানুষ ভাববে যে অপতথ্যগুলো স্বনামধন্য মিডিয়া সংস্থা থেকেই আসছে।” 

এই ধরনের পেজ থেকে রক্ষা পেতে ডুবাওয়া কিছু টিপস দিয়েছেন।

১) যাচাই করুন পেজটি ভেরিফাইড কিনা।

২) পেজের নামের সঙ্গে পেজের ইউজার নেম অথবা ইউআরএল মিলে কিনা।

৩) পেজের কনটেন্টগুলো ভুল বানান ও ভুল ব্যাকরণের কিনা।

৪) লোগো একই কিনা।

৫) পেজের লাইক এবং ফলোয়ার সংখ্যা কেমন।

৬) ‘অ্যাবাউট’ সেকশনে কোন স্থানীয় ফোন নাম্বার অথবা কোন ব্যক্তিগত ব্লগ বা অন্য কোনো ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস দেওয়া আছে কিনা।

৭) নিয়মিত পোস্ট হয় কিনা।

আরো কিছু লেখা