ডিসমিসল্যাব
চলমান বন্যা নিয়ে যত ভুল দাবি
ডিসমিসল্যাব
ভয়াবহ বন্যায় ডুবে গেছে বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা। এই ভয়াবহ বন্যার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ছবিগুলোর মধ্যে যেমন সত্যতা রয়েছে, আবার এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেগুলো আদৌতে এই বন্যার সাথে সম্পৃক্ত নয়। এমন ছবি ও ভিডিওগুলো ডিসমিসল্যাব যাচাই করছে এবং অপ্রাসঙ্গিক ছবি ও ভিডিওগুলোর ব্যাপারে লাইভ আপডেট দিচ্ছে:
দাবি: ফেনীর দৃশ্য বলে একটি ভিডিও ক্লিপ দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে।
যাচাই: এই ভিডিওটি ইতিপূর্বে লিবিয়া ও নেপালের বন্যার দৃশ্য দাবিতেও ছড়িয়েছে ২০২৩ সালে। এই নিয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের তথ্যযাচাই প্রজেক্ট অ্যানি ল্যাব ও নেপালের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান নেপাল চেক ভিন্ন দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভিডিওতে যে স্থানটি দেখা যাচ্ছে এটি মূলত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার মাদিয়ান ব্রিজ।
দাবি: বন্যার পানিতে ভবন ধ্বসে যাওয়ার দৃশ্য।
যাচাই: ভিডিওটি চলমান বন্যার নয়। ২০২০ সালে মাদারিপুরের এসইএসডিপি মডেল হাই স্কুল তীব্র স্রোতে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভিডিওটি মূলত সেই স্কুলের ধ্বসে যাওয়ার দৃশ্য।
দাবি: ভিডিওটি নোয়াখালীর বন্যার দৃশ্যের।
যাচাই: এটি নোয়াখালীর বন্যার দৃশ্য নয়। ভিডিওটি মূলত পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কালরি লেকের একটি দৃশ্য।
দাবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বন্যার্তদের উদ্ধার করার ভিডিও।
যাচাই: ভিডিওটি চলমান বন্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধারকার্যের নয়। বন্যায় সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য সামরিক বাহিনী নিয়োজিত থাকলেও, এই ভিডিওটির সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি পুরোনো।
দাবি: ভারতের দিল্লির বিমানবন্দর ধ্বসে পড়েছে।
যাচাই: ভারী বৃষ্টিপাতে দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ ধ্বসে পড়ার দাবিটি সাম্প্রতিক কোন ঘটনা নয়। চলতি বছরের ২৮ জুন তারিখে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।