নোশিন তাবাসসুম

জুনাইদ আহমেদ পলকের জামিন পাওয়ার দাবিটি সত্য নয়
নোশিন তাবাসসুম
সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ৪৯১ দিন পরে জামিন পেয়েছেন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবহারকারীকে। দাবির সত্যতা খুঁজতে গেলে ডিসমিসল্যাবের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, পলকের জামিন পাওয়ার দাবিটি সত্য নয়। ডিসমিসল্যাবকে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেসবুকে “পলিটিকাল এডিশন” নামের একটি পেজ থেকে ১০ ডিসেম্বর একটি ফটোকার্ড পোস্ট করে লেখা হয়, “দীর্ঘ ৪৯১ দিন পর জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। আপনি কি মনে করেন এটা আওয়ামী লীগের জন্য সু-খবর? ১/হ্যাঁ ২/না।” কমেন্টে দেখা যায় অনেক ব্যবহারকারী পোস্টের বার্তাকে সত্য বলে ধরে নিয়েছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “হ্যাঁ অবশ্যই ইনশাল্লাহ সফলতা আসবে।” আরেকজন লিখেছেন, “জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় জয় জয় আহমেদ পলক ধন্যবাদ আল্লাহর আল্লাহর শুকুর।” এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পোস্টটি ৩১৫ বার শেয়ার হয়েছে।

ফেসবুকের একাধিক (১, ২, ৩, ৪, ৫) ব্যক্তিগত প্রোফাইল এবং গ্রুপ (১, ২) থেকেও জুনাইদ আহমেদ পলকের জামিন হয়েছে দাবি করে পোস্ট করতে দেখা যায়। এছাড়া, ইনস্টাগ্রামেও (১, ২) একই দাবিটি পোস্ট হতে দেখা যায়।
সংবাদটির সত্যতা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট কিওয়ার্ড সার্চ করে এই সংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পায়নি ডিসমিসল্যাব। অধিকতর নিশ্চিত হতে ডিসমিসল্যাব যোগাযোগ করে জুনাইদ আহমেদ পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখির সঙ্গে। পলকের জামিন হওয়ার দাবিটি সত্য নয় বলে তিনি ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেন। ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, “পলক স্যারের একটা মামলাতেও জামিন হয় নাই এখন পর্যন্ত।”
অর্থাৎ, জুনাইদ আহমেদ পলকের জামিন পাওয়ার দাবিটি সত্য নয়।

প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর পলকের আইনজীবী অভিযোগ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার হাজিরা শেষে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে যাওয়ার সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া এবং জাতীয় সংগীত গাওয়ার কারণে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করাসহ টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে।