আহমেদ ইয়াসীর আবরার

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব
নিষিদ্ধ সংগঠন বৈধ হওয়ার ভুয়া দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমে
This article is more than 2 months old

নিষিদ্ধ সংগঠন বৈধ হওয়ার ভুয়া দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমে

আহমেদ ইয়াসীর আবরার

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব

জেএমবি-হুজি-সহ একঝাঁক জঙ্গি সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ”- এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা। একই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ভারতের আরও দুইটি গণমাধ্যমে (, )। জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, “… গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জেএমবি, হুজির মতো সংগঠন ভারতে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। সেই হুজি, জেএমবি, আনসারুল বাংলা, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ, শাহদত-ই-আল হিকমা, হিজবুত তাহিরি-সহ একাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলি নিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এনিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।” খবরটি প্রকাশিত হয় গত ৭ আগস্টে। যাচাইয়ে দেখা যায়, প্রতিবেদনে উল্লেখিত নিষিদ্ধ সংগঠন বৈধ হওয়ার দাবিটি অসত্য।

মূলত গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে ৮ আগস্ট ড. মুহম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। সুতরাং, ৭ আগস্ট এ ধরনের সিদ্ধান্ত কিভাবে নেয়া হলো— সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে।

জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “ইতিমধ্যেই জইশের ১২ জন, লস্কর ই তৈবার ৪ জন, হিজবুত তাওহিদের ১৫ জন, আনসারুল বাংলা টিমের ১৮ আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের ৪ জন, আল হিকমার ১২ জন, জেএমবির ২৮ জন, হুজির ২২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” 

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম টিপু সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডিসমিসল্যাবকে জানান, “এখনো এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।” অর্থাৎ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবিকে নাকচ করেন তিনি। তিনি জানান, সংসদ ভেঙে দেয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজকেই প্রথম দাপ্তরিক কাজ করেছেন।

জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে। দাবিটি সত্য এবং বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে ছবিসহ তা উঠে এসেছে (, )। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

আরো কিছু লেখা