তামারা ইয়াসমীন তমা

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব
আনন্দবাজারের খবরকে বিকৃত করে প্রচার
This article is more than 11 months old

আনন্দবাজারের খবরকে বিকৃত করে প্রচার

তামারা ইয়াসমীন তমা

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘জোর করে বাইডেনের সাথে ছবি তুলেছেন শেখ হাসিনা’ শিরোনামে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। 

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমের একাধিক পোস্টে (, , , , , ) গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতার একটি ছবি ও শিরোনাম বিকৃত করে প্রচার করতে দেখা গেছে। এসব পোস্টের দাবি অনুসারে, ভারতে জি-২০ সম্মেলন চলাকালে জো বাইডেনের সঙ্গে জোর করে ছবি তুলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তবে, ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায়, আনন্দবাজার পত্রিকায় এমন কোনো সংবাদ প্রচারিত হয়নি এবং সামাজিক মাধ্যমের ছবিটি সম্পাদিত।

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার ৯ সেপ্টেম্বরের ই-সংস্করণ যাচাই করে দেখা যায়, সম্পাদিত সংবাদের স্থানে ‘চিনের সম্পর্ক আর্থিক হলেও রক্তের বন্ধু ভারত, বার্তা হাসিনার’ শিরোনামে ভিন্ন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি সংবাদে সংযোজিত মূল ছবিতেও জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হাত মেলাতে দেখা যায়। মূল পত্রিকা সবগুলো পাতা খুঁজেও শেখ হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে বাইডেনের কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ভুয়া শিরোনামটিতে ব্যবহৃত ফন্টও, আনন্দবাজার পত্রিকার বাংলা ফন্ট থেকে ভিন্ন ছিল। আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ অনুসন্ধান করেও এমন কোনো সংবাদ পায়নি ডিসমিসল্যাব।

ফেসবুকের বাইরে ইউটিউবেও সংবাদটি ছড়াতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লি অবস্থান করছেন। সম্মেলন চলাকালে গতকাল শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন জো বাইডেনের সময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

পরবর্তীতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল তাঁর টুইটার (এক্স) অ্যাকাউন্টে জো বাইডেনের সঙ্গে তোলা বেশ কয়েকটি ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেন, “নয়া দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে জো বাইডেনের সঙ্গে চমৎকার খোশগল্প হয়েছে। আমি তাকে সমন্বিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যালয় মনোবিজ্ঞানীর প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বের কথা বলেছি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকেও এ সকল ছবিতে দেখা যায়।

আরো কিছু লেখা