তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন

ওসমান হাদির জানাজা থেকে ফিরে এনসিপি নেতা-নেত্রীদের মদ্যপানের দাবিতে ছড়াচ্ছে পুরোনো ভিডিও
তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন
ওসমান হাদির জানাজা থেকে ফিরে সমন্বয়ক ও এনসিপির নেতা-নেত্রীরা মদ্যপান করছেন— এ দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ভিডিওটি প্রায় দুই মাস আগেও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল। অথচ ওসমান বিন হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর।
“মাত্র হাদির জানাজা থেকে আসলো, মানুষে দেখলে কী মনে করবে! সমন্বয়ক আর এনসিপির নেতা-নেত্রীরা একত্রে বসে মদ খাচ্ছে” (বানান অপরিবর্তিত)— ক্যাপশনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, “এই যে, এই যে মদ খোর! এই দেহ কেডা।” আরেকজনের কণ্ঠে শোনা যায়, “ভিডিও করিস না, ভিডিও করিস না, মাত্র হাদি ভাইয়ের জানাজা থেকে আইছি মানুষ দেখলে কী কইব?” উত্তরে বলতে শোনা যায়, “না, না, এডি কেউ দেখবো না। এই আসলেই তো।”

পোস্টে একজন মন্তব্য করেছেন, “ভাই এরাই দেশের ১২টা বাজায় দিয়ে মদ গিলছে।” আরেকজন লিখেছেন, “সারাদিন মাতলামি করে মদ নিয়ে পরে থাকে আর দেশে গেঞ্জাম লাগানোর ধান্দা ঘুরে।” ভিডিওটি এ পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে শতাধিক বার।
আরেকটি পেজ থেকে একই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “রঙ্গিন পানির পার্টি চলছে…মাত্র হাদি ভাইয়ের জানাযা থেকে আইছি, মাইনসে দেখলে কি কইবো!😜”। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিওটি ১৪ হাজারের বেশি বার দেখা হয়েছে, শেয়ার হয়েছে একশত বারের বেশি। একই দাবিতে একাধিক আইডি থেকেও ভিডিওটি (১,২) পোস্ট করতে দেখা যায়।
কিওয়ার্ড সার্চ করলে দুইমাস আগে পোস্ট হওয়া একই ভিডিও ফেসবুকে খুঁজে পায় ডিসমিসল্যাব। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর পোস্ট করা এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, “এই যে এই যে মদ খোর 😆🤣।” যাচাই করা ভিডিওর “ভিডিও করিস না, ভিডিও করিস না, মাত্র হাদি ভাইয়ের জানাজা থেকে আইছি মানুষ দেখলে কী কইব?” বলা এই অংশটি এই ভিডিওতে শোনা যায় না। অর্থাৎ, এই অডিওটি পরবর্তীতে যুক্ত করে ভিন্ন দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ওসমান বিন হাদির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এর প্রায় দুই মাস আগেই এই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ওসমান হাদির জানাজা থেকে ফিরে এনসিপি নেতা-নেত্রীদের মদ্যপানের দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো।
প্রসঙ্গত, ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাঁকে কেন্দ্র করে একাধিক ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডিসমিসল্যাব।