নোশিন তাবাসসুম

গবেষণায় জামায়াত ঐক্যজোটের ১৬৩ আসন পাওয়ার দাবিতে এনটিভির ভুয়া ফটোকার্ড
নোশিন তাবাসসুম
একটি গবেষণায় দেখা গেছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামি ঐক্যজোট ১৬৩টি আসন পাবে- গণমাধ্যম এনটিভির ফটোকার্ড দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে এমন বার্তা। ফ্যাক্টচেক করে ডিসমিসল্যাব নিশ্চিত হয়েছে ফটোকার্ডটি ভুয়া। এমন কোনো ফটোকার্ড এনটিভি প্রকাশ করেনি বলে সংবাদমাধ্যমটি ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামের একটি গ্রুপ থেকে এনটিভির একটি কথিত ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, “ইনশাআল্লাহ একটি গবেষণায় ওঠে এসেছে জাতীয় নির্বাচনে জামাতেইসলামি ঐক্যজোট ১৬৩-থেকে ১৬৭’টি আসনে বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে আর যদি জামাতেইসলামের সাথে মহা ঐক্যজোট হয় তাহলে ১৭৩-থেকে ১৮৭ টি আসনে বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা আছে,ইনশাআল্লাহ” (বানান অপরিবর্তিত)। ফেসবুকের একাধিক ব্যক্তিগত প্রোফাইল (১, ২, ৩, ৪) এবং গ্রুপ (১, ২, ৩) থেকে একই দাবিতে ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়।

ফটোকার্ডের ভেতরে লেখা “জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাবে ওঠে এসেছে গবেষণায়”। ফটোকার্ডে তারিখ হিসেবে “০৯ নভেম্বর, ২০২৫” দেওয়া আছে। এতে এনটিভির অন্যান্য ফটোকার্ডের মতো নাম ও লোগোসহ একই ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করতে এনটিভি এর ফেসবুক পেজের ৯ নভেম্বরের পোস্টগুলো যাচাই করে ডিসমিসল্যাব। তবে নির্দিষ্ট এই তারিখে এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড বা খবর সংবাদমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া ফটোকার্ড যাচাইয়ে সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিসমিসল্যাব।

এনটিভির অনলাইন সম্পাদক ফকরউদ্দীন জুয়েল ডিসমিসল্যাবকে নিশ্চিত করেছেন এই ফটোকার্ডটি ভুয়া, এনটিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। পরবর্তীতে এনটিভি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া একটি পোস্টে নিশ্চিত করে ফটোকার্ডটি তাদের নয়। অর্থাৎ, জামায়াত ঐক্যজোট ১৬৩ আসন পাওয়ার গবেষণার দাবিতে ছড়ানো এনটিভির ফটোকার্ডটি নকল।
এনটিভির নাম ব্যবহার করে ইতিমধ্যে জামায়াতের আসন সংখ্যা বিষয়ক একাধিক ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। গত ২২ অক্টোবর জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নাম ব্যবহার করে এনটিভির নামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ালে সেটি ফ্যাক্টচেক করে ডিসমিসল্যাব। এছাড়া একই ধরণের একাধিক ফটোকার্ড ফ্যাক্টচেক করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার (১, ২, ৩)।