মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব
বয়স্ক নারীকে রাজশাহীর যুবদল নেতার থাপ্পড়ের ভাইরাল ভিডিওটি আসলে ভারতের

বয়স্ক নারীকে রাজশাহীর যুবদল নেতার থাপ্পড়ের ভাইরাল ভিডিওটি আসলে ভারতের

মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

রাজশাহীতে ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি একজন বয়স্ক মানুষকে থাপ্পড় মেরেছেন দাবিতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ডিসমিসল্যাবের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি ভারতের।

১৭ ডিসেম্বর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, “রাজশাহীতে ইউনিয়ন বিএনপি’র যুবদলের সভাপতি একজন মায়ের মত বয়স্ক মানুষকে কিভাবে মারল!” ভিডিওতে এক বয়স্ক নারীকে রাস্তায় চড় দিয়ে ফেলে দিয়েছেন একজন ব্যক্তি। কিওয়ার্ড সার্চ করলে দেখা যায় ৩ মাস আগেও এই ভিডিও একই ক্যাপশনে আরেক ব্যবহারকারী ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন।

গোলাম দস্তগীর বীর নামের একটি প্রোফাইল থেকে আপলোড হওয়া পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, “রাজশাহীতে ইউনিয়ন বিএনপি’র যুবদলের সভাপতি একজন মায়ের মত বয়স্ক মানুষকে কিভাবে মারল!” এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিওটি ব্যবহারকারীরা অন্তত ১ কোটি ২০ লাখের বেশিবার দেখেছেন। শেয়ার করা হয়েছে লক্ষাধিক বার। এছাড়া মন্তব্য জানানো হয়েছে চার হাজারের বেশি। পোস্টটি শেয়ার করে অনেকেই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন (, , , )।

ভিডিওর কয়েকটি কিফ্রেম সার্চ করে ভারতের সংবাদমাধ্যম আজতকে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায় যেখানে একই ভিডিও দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভিডিওটি ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শহর দেওরিয়ার। জানা যায়, দেওরিয়ার গৌরী বাজার থানা এলাকার বিষ্ণুপুরা প্রথম ওয়ার্ড–১ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তি এক বৃদ্ধা নারী ও তাঁর ছেলেকে মারধর করেছিল।

আজতকের প্রতিবেদনে লেখা হয়,“অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে ওই বৃদ্ধা নারীকে জোরে চড় মারেন, এতে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এরপর তিনি তাঁর ছেলেকে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকেন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।”

অর্থাৎ, ভাইরাল হওয়া ভিডিও রাজশাহীতে ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের সভাপতি কর্তৃক একজন বয়স্ক মানুষকে থাপ্পড় মারার নয়, বরং ভারতে জমি নিয়ে বিরোধের একটি ঘটনার। 

আরো কিছু লেখা