মিনহাজ আমান
ভাইরাল বিড়াল-প্রিয় ইমামের ছবি দিয়ে ভিন্ন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর প্রচার
মিনহাজ আমান
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক , টুইটারে বিড়াল কাঁধে নামাজরত একজন ইমামের ছবি এবং ভিডিও দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, ক্বারী শেখ আব্দুল্লাহ কামেল মারা গেছেন। কিন্তু যাচাই করে দেখা গেছে, বিড়াল কাঁধে নামাজে ইমামতি করে ভাইরাল হওয়া আলজেরিয়ার সেই ইমামের নাম শেখ ওয়ালিদ মেহসাস। অপরদিকে শেখ আব্দুল্লাহ কামেল নামের একজন মিশরীয় বংশোদ্ভূত ক্বারি মারা গেলেও তিনি সেই ছবি বা ভিডিও’র ব্যক্তিটি নন।
গত ২৭ এবং ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের একাধিক ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে দাবিটি পোষ্ট করা হয়। বাংলাদেশের একটি গ্রুপ থেকেই অন্তত ৪৮ বার শেয়ার করা হয়েছে। এছাড়া টুইটারের একাধিক ভেরিফায়েড একাউন্ট থেকেও একই ছবি দিয়ে শেখ আব্দুল্লাহ কামেলের মৃত্যুর খবর পোষ্ট করা হয়।
ফেসবুক, টুইটারে পোষ্টগুলোর সাথে যুক্ত বিড়াল কাঁধে ইমামের ছবিটি সার্চ করে দেখা যায়, এটি মূলত আলজেরিয়ার এক ইমামের ছবি। গত ৪ এপ্রিল আনাদুলু এজেন্সিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই ইমামের নাম শেখ ওয়ালিদ মেহসাস। খবরটিতে বলা হয়, শেখ ওয়ালিদ মেহসাস রাজধানী আলজিয়ার্সের পূর্বে বোর্দজ বউ অ্যারেরিডজের একটি মসজিদে রমজান মাসে তারাবিহ নামাজের সময়ে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করছিলেন, তখনবিড়ালটি ইমামের গায়ে উঠে পড়লে তা ভিডিওতে ধারণ করা হয়।
এছাড়া বিবিসির একটি প্রতিবেদনে সেই ঘটনার একটি ভিডিও পাওয়া যায় এবং সেখানে সেই ইমামের নাম একই অর্থাৎ ওয়ালিদ মেহসাস বলে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে শেখ আব্দুল্লাহ কামেল নামের একজন ক্বারী গত ২৭ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা যায় আল জাজিরার আরবী সংস্করণে প্রকাশিত এক খবরে। স্বয়ংক্রিয় গুগল অনুবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে মিশরের আল ফায়ুম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামেল। আল জাজিরা মিশরের টুইটার হ্যান্ডেল ছাড়াও একাধিক গণমাধ্যমে তার ছবিসহ মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত তার মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে ভিন্ন দেশের আরেকজন ইমামের ছবি যুক্ত করায় অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন। এসব বিভ্রান্তিকর পোষ্টের প্রেক্ষিতে অনেকে ফেসবুক এবং টুইটারে বিষয়টি স্পষ্ট করারও চেষ্টা করেন। তবে কমেন্ট সেকশনে অনেকে বলেন, দুজন ভিনদেশি হলেও চেহারায় কিছুটা মিল থাকায় এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।