ফামীম আহমেদ

রিসার্চার, ডিসমিসল্যাব
সয়াবিন তেল: ভুয়া তথ্য যখন বিজ্ঞাপনে, নীতিনির্ধারকের সংশয়ে
This article is more than 2 years old

সয়াবিন তেল: ভুয়া তথ্য যখন বিজ্ঞাপনে, নীতিনির্ধারকের সংশয়ে

ফামীম আহমেদ

রিসার্চার, ডিসমিসল্যাব

ভোজ্যতেল হিসেবে বাংলাদেশে সয়াবিন তেলের ব্যবহার খুবই জনপ্রিয়। ফলস্বরুপ, পৃথিবীর তৃতীয় শীর্ষ সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু সয়াবিন তেল নিয়ে দুটি গুরুতর দাবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

একটি দাবি হচ্ছে, “সয়াবিন তেল খাবারের বা রান্নার কোনো তেল নয়… শরীরের জন্যে এটি বিষ”; এই উক্তি ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও নারায়ণ হেলথের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠির বলে ছড়ানো হচ্ছে। অপরটি হল, “২০০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত সয়াবিন তেল পোড়া মবিল ছাড়া আর কিছুই নয়”, যা এসেছে মূলত বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের উক্তি হিসেবে। আবার কোথাও দুটি উক্তিকে একসাথে জুড়ে দিয়ে দেবী শেঠির বলে চালানো হয়েছে।  

২০২২ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে পোস্টগুলো বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে প্রায় ১০ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে এবং তাতে লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সম্পৃক্ত হয়েছেন। একাধিক অনলাইন বিজ্ঞাপনে এর ব্যবহার দেখা গেছে, এমনকি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একটি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবির প্রসঙ্গ টেনেছেন। 

মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই দাবি যাচাই করতে গিয়ে ডিসমিসল্যাব তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নেয়: সয়াবিন তেল কি আসলেই বিষ, এটি কি ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়, এবং কথিত উক্তিগুলো কি আসলেই ডা. দেবী শেঠি বা ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের? বিভিন্ন প্রতিবেদন, ডা. দেবী শেঠির কার্যালয়ের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করে তিনটি তথ্যই বেঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সয়াবিন কি মানুষের শরীরের জন্যে বিষ?  

সয়াবিন তেলের উদ্ভব মূলত পূর্ব এশিয়ায় এবং গবেষণায় হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে থেকে সয়াবিন ভাঙ্গানোর ইতিহাস পাওয়া যায়। রান্নার তেল হিসেবে, ওষধি হিসেবে এবং বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে গোটা বিশ্বেই সয়াবিনের ব্যবহার চলে আসছে।

খাদ্যপণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য সুপরিচিত সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) সয়াবিন তেলকে Generally Recognized As Safe বা “সাধারণভাবে নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত” বলে তালিকাভুক্ত করেছে। আমেরিকার এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) ২০১০ সালের ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্লাওয়ার অয়েলস সামারি ডকুমেন্ট রেজিস্ট্রেশন রিভিউ নথিতেও বলা হয়েছে যে, “সয়াবিন তেল একটি প্রকৃতিজাত উপাদান এবং এর ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।”

এছাড়া ইউরোপিয়ান কেমিক্যালস এজেন্সি (ইসিএইচএ) এর মানুষ ও পরিবেশকে রাসায়নিক পদার্থের বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা করার আইন ‘REACH’ এর পর্যালোচনা অংশে সয়াবিন তেলের বিষাক্ততা ও প্রভাব মুল্যায়ন করে একে নিরাপদ (সবুজ রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা) বলে অভিহিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যের জন্য সুপরিচিত সাইট ওয়েবএমডিতেও একে নিরাপদ বলেই তুলে ধরা হয়।

অর্থাৎ, স্বাভাবিক সয়াবিন তেলে বিষাক্ত উপাদান থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়না। 

তবে নানা গবেষণায় উঠে এসেছে যে সয়াবিনসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিজ তেল বার বার ব্যবহারের কারণে  ফ্রি-রেডিকেলট্রান্স ফ্যাটি এসিড তৈরি হয়, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ হতে পারে। একই কারণে অস্টিওপরোসিস (হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হওয়া), লিভার ও যকৃতে বিরূপ প্রভাব পড়া, এমনকি ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তবে এটি ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে প্রযোজ্য, কেবলমাত্র সয়াবিন তেল নয়।

২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সয়াবিন তেল প্রক্রিয়াজাত করা হয়?  

শিল্প বিপ্লবের আগে গৃহপালিত পশু দিয়ে ঘানিতে সয়াবিনের বীজ পিষে তেল সংগ্রহ করা হতো। বিংশ শতাব্দীতে বাষ্পীয় শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বীজকে পিষে তেল সংগ্রহ করা হয়। এখন বৈদ্যুতিক স্ক্রু প্রেস বা মেকানিক্যাল প্রেস ব্যবহার করে অপরিশোধিত সয়াবিনের তেল সংগ্রহ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা থাকে ১১৬ থেকে ১৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে।

অপরিশোধিত সয়াবিন তেল সংগ্রহের পর কয়েকটি ধাপে সেই তেল পরিশোধন করা হয়। গবেষণা ও তেল পরিশোধন মেশিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অন্তত পাঁচটি স্বতন্ত্র সূত্র যাচাই করে দেখা গেছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে তেল পরিশোধনের বিভিন্ন ধাপে ১০০ ডিগ্রী থেকে সর্বোচ্চ ২৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে। অর্থাৎ, সয়াবিন তেল ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে যে দাবিটি করা হয়েছে, সেটি অতিরঞ্জিত; সঠিক নয়।

উক্তিগুলো যাদের নামে তারা কী বলছেন

ভোজ্যতেল নিয়ে ডা. দেবী শেঠির মন্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায় ইন্ডিয়া টুডে নামের একটি ভারতীয় পত্রিকায়। ২০১২ সালে প্রকাশিত সেই লেখায় তিনি বলেছিলেন, “যখন বাদাম থেকে তেল নিষ্কাশনই প্রকৃতি বিরুদ্ধ, তবে হৃৎপিন্ডের জন্যে ভালো এমন তেল আমরা আর কীভাবেই বা পেতে পারি?” তবে সয়াবিন তেলে যে “শরীরের জন্য বিষ” এমন কোনো মন্তব্য ডা. দেবী শেঠির কোনো ভিডিও বা তাঁর নিজস্ব চ্যানেলে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত ৩ নভেম্বর ইমেইলে যোগাযোগ করা হলে, ডা. দেবী শেঠির কার্যালয় থেকে জানানো হয় তিনি কখনোই এমন কোনো বক্তব্য দেননি।

অপরদিকে ডা. জাহাঙ্গীর কবির তার নিজস্ব ফেসবুক পেজের পাশাপাশি তার একাধিক উদ্যোগ যেমন “হেলথ রেভ্যুলুশন” এবং ‘জে কে লাইফস্টাইল’ পেজের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সংক্রান্ত নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সয়াবিন তেল সংক্রান্ত তার বক্তব্য খোঁজ করতে গেলে ইউটিউবে তার প্রশ্নোত্তর পর্বের একটি ছোট ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে তিনি সয়াবিন তেলকে ‘বিষ’ এবং এই তেল “৬০০ ডিগ্রী থেকে ৭০০ ডিগ্রীতে পোড়ানো হয়” বলে দাবি করেন। তবে সয়াবিন তেল ২০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে কোনো দাবি তার কোনো ভিডিওতে পাওয়া যায়নি। 

এই বিষয়ে টেলিফোনে কল করে এবং সামাজিক মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জবাবে তিনি তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলের প্রায় আড়াই ঘন্টার একটি ভিডিওর লিংক পাঠান। ভিডিওটির ২৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড থেকে ২৮ মিনিট ১০ সেকেন্ড এর মধ্যে ডা. জাহাঙ্গীর কবির সয়াবিন তেল তৈরিতে “৬০০ থেকে ৭০০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় হিট (তাপ) দেয়া লাগবে” বলে জানান।

দাবিটির ব্যাপ্তি ও প্রভাব

“সয়াবিন তেল খাবারের বা রান্নার কোনো তেল নয়… শরীরের জন্যে এটি বিষ” – এই ভুয়া উক্তিটি ২০২২ সালে ফেসবুকের পাবলিক পোস্ট হিসেবে সামনে আসতে দেখা যায় মে মাসের ৭ তারিখে। কাজল দাশ নামের এক ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে এটি পোস্ট করা হয়, যা ১২০০ বারের বেশি শেয়ার হয়েছে। তিনি সেই পোস্টে নিজেকে ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিডনী ও হৃদরোগ’ বলে দাবি করেন। আরেকটি পোস্টের কমেন্ট থেকে জানা যায় তিনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং তার চেম্বার চট্টগ্রামের লালদিঘীর পাড়ে অবস্থিত সেন্ট্রাল হোমিও ফার্মেসীতে। সেই ফার্মেসীর সাথে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

পোস্টটিতে উল্লেখ করা তথ্যের উৎস জানতে কাজল দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে তিনি বক্তব্যটি সরাসরি ডা. দেবী শেঠির কাছ থেকেই শুনেছেন বলে দাবি করেন। তিনি ডিসমিসল্যাবকে বলেন, “দেবী শেঠি তো এইটা লিখছে। আমাকে সরাসরিও বলসে।” যখন তাকে জানানো হয় দেবী শেঠি এই উক্তিটি বলেননি বলে নিশ্চিত করেছেন, তখন তিনি পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে যান। 

বক্তব্যটি আরো ছড়িয়ে পড়ে মে মাসের ১১ তারিখে, মেডিকেল ইনফরমেশন নামের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করার পর। সেখানে কাজল দাশের পোস্টটিকে হুবহু তুলে ধরা হয় এবং পোস্টটি সাড়ে আট হাজারের বেশি বার শেয়ার হয়। এরপরের তিন মাসে অন্তত ৫৮টি ফেসবুক পেজে এটি আলাদাভাবে পোস্ট করা হয়।

ভুয়া দাবি যখন বিজ্ঞাপনে

দ্বিতীয় দাবি, অর্থাৎ, “২০০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত সয়াবিন তেল পোড়া মবিল ছাড়া আর কিছুই নয়” বলে যে পোস্টটি এবছর ফেসবুকে সয়লাব হয়, সেটি এসেছে মূলত একটি ব্যবসায়িক প্রচারণার অংশ হিসেবে। চলতি বছর ১৭ জুন তারিখে সততা হাইজিনিক ফুড নামের একটি পেজ থেকে উভয় দাবি সম্বলিত একটি পোস্ট পাওয়া যায়, এবং তাতে দেবী শেঠিকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে সয়াবিন তেল “মানব শরীরের জন্য বিষ” এবং ডা. জাহাঙ্গীর কবিরকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে এই তেল “২০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত” করা হয়।

২৭ জুলাই থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে অন্তত ২৩টি পেজে সততা অয়েল মিল নামের একটি সরিষার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নামে দাবিটি ছড়ানো হয়। 

দীর্ঘ এই পোস্টে সয়াবিন সংক্রান্ত দাবিটি ছিল এরকম: “বাংলাদেশের প্রখ্যাত ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরের ভাষায়: ” ২০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াকৃত সয়াবিন তেল পোড়া মবিল ছাড়া আর কিছুই নয়”। কিন্তু আফসোস দিনে দিনে সরিষার তেল থেকে আমরা সয়াবিন তেলে ঝুঁকে পড়েছি। বিভিন্ন বিদেশি বা আমদানি নির্ভর কোম্পানির অব্যাহত প্রচারনায় আপনকে করেছি পর। নিজেদের উৎপাদিত তেলকে দু পায়ে মাড়িয়ে বিদেশি সয়াবিনকে আঁকড়ে ধরেছি। ফলাফল? সয়াবিন তেল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে লিভার সিরোসিস, হাই প্রেশার, এমনকি ক্যান্সারও তৈরি করছে।”

এরপর তাদের পোস্টটিকে আরও কিছু সরিষার তেল বিক্রিকারক নিজেদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করে। যেমন, ‘Md Ziaur Rahman’ নামক এক ব্যবহারকারী “খাঁটি পণ্য এন্টারপ্রাইজের” সরিষার তেল বিক্রির প্রচারণামূলক পোস্টে একই দাবি করেন। এভাবে দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে আরও ছড়াতে থাকে।  বিক্রয় ডট কমে সরিষা তেল বিক্রয়ের বিজ্ঞাপনেও একই দাবি পাওয়া যায়। 

তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ, সামাজিক মাধ্যমে দুটি বেঠিক দাবি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যেমন:  অক্টোবরের ৩০ তারিখে ‘হোমিওপ্যাথি সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞান’ নামক ফেসবুক পেজে দুইটি দাবিকে একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে ডা. দেবী শেঠির নামে চালিয়ে দেওয়া হয়। পোস্টটিতে ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত ফেসবুকে ৯০০ টির বেশি লাইক, ২২ টি মন্তব্য পড়েছে। আর শেয়ার হয়েছে ১১৯ বার। নভেম্বরে এসে, এই ভুয়া উক্তি সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক সরিষার তেলের বিজ্ঞাপনের মূল বার্তায় পরিণত হয়, নিচে যার কয়েকটি উদাহরণ মিলবে।

এই বার্তা মানুষের মধ্যে নানান প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টগুলোর মন্তব্য সেকশনে কেউ এই তথ্য বিশ্বাস করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন; কেউ বলেছেন “এত দিন বিষ খাচ্ছি”; কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে এখন কী হবে। আবার একজন মা তার বাচ্চার জন্যে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন। 

গণমাধ্যমে, নীতিনির্ধারকের বক্তব্যে

২০২২ সালের ১৮ মে দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “… গত কয়েক দিন আগে আমি একটা নিউজ দেখলাম এক জায়গায় এসছে ডা. দেবী শেঠির লেখা যে সয়াবিন খেলে শরীরের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়। জানি না তার কিনা…এই সব কথাগুলো তো বাজারে আসা উচিত।” 

অর্থাৎ, মন্ত্রী নিজেও উক্তিটি দেখেছেন, তিনি নিশ্চিত নন যে কথাগুলো ডা. দেবী শেঠি বলেছেন, তবে তিনি মনে করেন এই বার্তা আরো মানুষের কাছে পৌঁছানো উচিত। এই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও রয়েছে চ্যানেল আইয়ের ইউটিউব চ্যানেলে। ভিডিওটির ১মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে উক্তিটি পাওয়া যায়।

সয়াবিন তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্ত্রীর বক্তব্যটি গুরুত্বের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন টিভি, অনলাইন এবং ইংরেজীবাংলা পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রচারিত হয়। এভাবে বার্তাটি মূলধারার গণমাধ্যমেও জায়গা করে নেয়।

আরো কিছু লেখা