
জুলাই যোদ্ধা ও এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতু রাতে বাসায় ফেরার সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এমন দাবিতে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। তবে ডিসমিসল্যাবের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায় এমন কোনো ফটোকার্ড বা খবর সংবাদমাধ্যমটি প্রকাশ করেনি।
গত ২৮ ডিসেম্বর ফেসবুকে একটি পেজ থেকে এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতুর ছবি সম্বলিত ফটোকার্ডটি ছড়িয়ে পড়ে। ফটোকার্ডের ভেতরে লেখা,”রাতে বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার জুলাই যোদ্ধা ডাঃ মাহমুদা মিতু”।

ফটোকার্ডের উপরের ডান কোণে সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের লোগো দেওয়া। এছাড়া কার্ডের নিচে বাম পাশে তারিখ হিসেবে “২৮ ডিসেম্বর ২০২৫” লেখা এবং ডানপাশে সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, “ব্রেকিং নিউজ এই মুহুর্তে বাসায় ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধ*র্ষণের শিকার জুলাই যোদ্ধা ডাঃ মাহমুদ মিতু সবাই পেজটি ফলো করে সাথে থাকুন” ( লেখা অপরিবর্তিত)।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফটোকার্ডটি ৩০০ বারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩০০র বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পোস্টে ৫০০এর অধিক মন্তব্য দেখা গেছে। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “আল্লাহর গজব”, আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “আহারে লাল স্বাধীনতা….”
ফটোকার্ডের সত্যতা নিশ্চিত করতে সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের ২৮ ডিসেম্বরের ফটোকার্ড ও পোস্টগুলো যাচাই করে দেখে ডিসমিসল্যাব। নির্দিষ্ট এই তারিখে এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড বা প্রতিবেদনের লিংক সংবাদমাধ্যমের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
এনসিপি নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতু সংক্রান্ত এমন কোনো প্রতিবেদন কোনো সংবাদমাধ্যমেই খুঁজে পায়নি ডিসমিসল্যাব।
এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাথে যোগাযোগ করে ডিসমিসল্যাব। সংবাদমাধ্যমটির জয়েন্ট নিউজ এডিটর ও অনলাইন ইনচার্জ মাজহার খন্দকার জানিয়েছেন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর থেকে ২৮ ডিসেম্বর এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়নি। তিনি আরও জানান, এই ফরম্যাটের কার্ডও সংবাদমাধ্যমটি এখন ব্যবহার করে না, এমন কার্ড আগে ব্যবহার করা হতো।
অর্থাৎ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নামে ছড়ানো ফটোকার্ডটি ভুয়া। ২৮ ডিসেম্বর তারিখে ডা: মাহমুদ মিতু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে দাবিতে কোনো ফটোকার্ড চ্যানেল টোয়েন্টিফোর প্রকাশ করেনি।
ইতঃপূর্বেও মাহমুদা মিতুকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম জড়িয়ে একাধিক ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়েছে যা তথ্য যাচাইকারী সংস্থা “ফ্যাক্টওয়াচ” -এর ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নামে ভুয়া ফটোকার্ড নিয়ে আগেও ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডিসমিসল্যাব।