তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন

ফেলো, ডিসমিসল্যাব
This article is more than 5 months old
সাদা পাথর উদ্ধার নিয়ে ভুয়া ফটোকার্ড - ফ্যাক্টচেক

প্রথম আলোর নামে ছড়ানো ফটোকার্ডটি ভুয়া

তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর চুরি হয়নি, বরং সেগুলো ধুয়ে শুকাতে দেয়া হয়েছে এমন একটি উদ্ধৃতি প্রথম আলোর ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায় ফটোকার্ডটি ভুয়া।

“চুরি নয়, সাদা পাথরগুলো ধুয়ে শুকাতে দেওয়া হয়েছে – উপজেলা সভাপতি” এমন একটি উদ্ধৃতিসহ ফটোকার্ডটি প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে (, , )। সেখানে প্রথম আলোর লোগো দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া, তারিখ উল্লেখ করা হয় ১২ আগস্ট ২০২৫। কসমেটিক জোন, চিটাগং নামের পেজ থেকে পোস্ট করা ফটোকার্ডটি ৮০০-রও বেশিবার শেয়ার করা হয়েছে।

সিলেটের সাদা পাথর চুরি নিয়ে প্রথম আলোর ভুয়া ফটোকার্ড শেয়ার

ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায়, ফটোকার্ডে যে তারিখ দেওয়া আছে (১২ আগস্ট, ২০২৫) সেই তারিখে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে এরকম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশিত হয়নি এবং প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এই প্রসঙ্গে কোনো সংবাদ প্রতিবেদনও পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কার্ডের নিচে বামপাশে ‘সারাদেশ’ লেখা রয়েছে। প্রথম আলো তাদের কার্ডে দেশের খবরের ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ’ ব্যবহার করে, ‘সারাদেশ’ নয়। এছাড়াও কার্ডে ‘সংগৃহীত’ বানানটিও ভুল। 

ফটোকার্ডটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে ডিসমিসল্যাব যোগাযোগ করে প্রথম আলোর ডেপুটি হেড অব রিপোর্টিং (অনলাইন) রাজীব আহমেদ-এর সঙ্গে। তিনি জানান ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং প্রথম আলো এমন কোন ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।  ফটোকার্ডটিকে ভুয়া বলে একটি পোস্টও দেয়া হয় প্রথম আলোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।

সাদা পাথর চুরি নিয়ে প্রথম আলোর ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে সিলেটের ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এটি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা হয়েছে।

আরো কিছু লেখা