লিখুন আমাদের জন্য!
ডিজিটাল এই যুগে প্রয়োজনীয় অনেক রকম তথ্য যেমন আমাদের হাতের মুঠোয় থাকে, তেমনি বেঠিক বা বিভ্রান্তিকর নানা তথ্যের জোয়ারে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে পুরোদমে। হরেক রকম তথ্যের ভিড়ে কোনটা যে ঠিক আর কোনটা যে ভুল— তা নির্ধারণ করা প্রায়ই হয়ে দাঁড়ায় কষ্টসাধ্য।
অনলাইনে তথ্যপ্রবাহের ধরন নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণ এবং মিথ্যা ও অপতথ্য যাচাইয়ের লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছে ডিসমিসল্যাব। এর মাধ্যমে একদিকে আমরা যেমন তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন অপতথ্য যাচাই করি, তেমনি সময় নিয়ে গবেষণা করে বোঝারও চেষ্টা করি এর স্বরূপ-প্রকৃতি ও নেপথ্যের কার্যপদ্ধতি। এই কাজটিতে আপনিও আমাদের সঙ্গী হতে পারেন বিশ্লেষণধর্মী বা পরামর্শমূলক লেখাপত্র দিয়ে।
কী বিষয়ে লিখবেন
আমাদের কাজের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে: পাঠক ও গণমাধ্যমকে ভুয়া খবর ও মিথ্যা তথ্যের বিস্তার সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করে তোলা। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত লেখাপত্র প্রকাশ করি “বুঝিব কেমনে” সেকশনে। এখানে মূল বিষয়বস্তু মিডিয়া লিটারেসি। চাইলে আপনিও লিখতে পারেন এই ধরনের সচেতনতামূলক লেখা। তবে লেখার ধরন ঠিক মতামত বা সম্পাদকীয় ধাঁচের না হলেই ভালো। প্রচুর উদাহরণ ও গবেষণালবদ্ধ তথ্য-সমৃদ্ধ একটি পরামর্শমূলক নিবন্ধই আমরা আশা করে থাকি।
মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য আরও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে যদি তা মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোতে জায়গা করে নেয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, এমনটিও প্রায়ই ঘটে থাকে। গণমাধ্যমের এমন কোনো ভুলভ্রান্তি বা অসাবধানতা নিয়েও আপনি মন্তব্য বা বিশ্লেষণধর্মী লেখা লিখতে পারেন আমাদের মিডিয়া ওয়াচ সেকশনে – যার নাম দেয়া হয়েছে ‘মিডিয়ার সৃষ্টি’। এ ধরনের লেখায় গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় সংস্কৃতি ও প্রবণতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ থাকতে পারে।
আপনি চাইলে তথ্যপ্রবাহ, ইনফরমেশন ডিজঅর্ডার, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার বা এধরনের বিষয় নিয়ে সমসাময়িক গবেষণা ও তার ফলাফল নিয়েও লিখতে পারেন। লেখার সময় সেই গবেষণার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের প্রাসঙ্গিকতাও তুলে ধরুন।
লেখার ধরন কেমন হবে
লেখার বিষয়বস্তু যতটা সম্ভব স্পষ্টভাবে তুলে ধরা জরুরি। তাই লেখায় বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় প্রেক্ষিত-প্রেক্ষাপট রাখুন। লেখায় ব্যবহৃত যেকোনো তথ্যের নির্ভুলতার দিকে বাড়তি নজর দিন। প্রয়োজনীয় লিংক বা নথির রেফারেন্স যুক্ত করুন।
ব্যাখ্যা ও সচেতনতামূলক বা বিশ্লেষণধর্মী লেখাগুলোতে আপনাকে হয়তো অনেক কিছুই ভেঙে ভেঙে, ধাপে ধাপে বলতে হতে পারে। ফলে লেখাটি একটু বড় হবে— সেটিই স্বাভাবিক। আবার লেখাটি খুব বেশি দীর্ঘ হয়ে পড়লে যে পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে পারে— সেটিও মাথায় রাখুন। সব মিলিয়ে আদর্শ হতে পারে ১০০০-১৫০০ শব্দের লেখা।
আগে পিচ করুন
যে কোনো লেখা শুরুর আগে সেটির আইডিয়া পিচ করুন। এতে শুরুতেই জেনে নিতে পারবেন যে বিষয়টি ডিসমিসল্যাবে প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। যদি আইডিয়াটি প্রকাশযোগ্য হয়, তাহলে আমরাও আপনাকে সহায়তা করতে পারব প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে। একটি দীর্ঘ লেখা লিখতে গিয়ে আপনার যে সময় ও শ্রম ব্যয় হবে তা হয়তো অর্থের মাপে পরিমাপ করা কঠিন। তবে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এই শ্রম ও সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব।
লেখার আইডিয়া মেইল করুন এখানে: editor@dismislab.com