তৌহিদুল ইসলাম রাসো
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য
তৌহিদুল ইসলাম রাসো
উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিভ্রান্তিকর পোস্ট ভাইরাল হতে দেখা গেছে। পোস্টগুলোতে মাইলস্টোন স্কুল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা ২৪৭ এবং আহত ৫২২। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ ডিসমিসল্যাবকে জানিয়েছে— দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া।
ফেসবুকের বেশকিছু লিখিত পোস্টে (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯) গত ২৩ জুলাই থেকে নিহতের এই সংখ্যা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা যায়। পোস্টে লেখা, “নিহত -২৪৭ আহত -৫২২ সোর্স : মাইলস্টোন স্কুল কর্তৃপক্ষ।” (লেখা অপরিবর্তিত)

একই দাবিতে শেয়ার করা একটি পোস্ট যাচাইয়ে দেখা যায়, সেখানে এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুইশোর বেশি ব্যবহারকারী; মন্তব্য করেছেন একশো জনের উপরে। এছাড়া পোস্টটি ১০ বার শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টটির মন্তব্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া— কেউ এই তথ্যের প্রমাণ চেয়েছেন, কেউ সত্য বলে ধরে নিয়েছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টিকে গুজব বলেছেন। এক ব্যবহারকারী প্রমাণ চেয়ে লিখেছেন, “এই সোর্সের প্রমাণটা লাখতে হবে, আমিও জানতে চাই সত্যি টা।” আরেক ব্যবহারকারী সত্য ধরে নিয়ে লেখেন, “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কি নির্মমতা! বলির পাঠা হই আমরাই।” আবার গুজব ধরে নিয়ে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “এই রকম গুজব বাজকে পুলিশে ধরিয়ে দিন।”
ছড়িয়ে পড়া পোস্টের সত্যতা যাচাইয়ে, শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিসমিসল্যাব। বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় আহত, নিহত ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ণয় করে ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুতের জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে কমিটি গঠন করা হয় তার সমন্বয়ক (কো-অর্ডিনেটর) মিসেস লুৎফুন্নেসা লোপার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই তালিকাটি স্কুল কর্তৃপক্ষের বানানো নয়। তিনি বলেন, “এটি ভুয়া তথ্য।”
গত ২১ জুলাইয়ের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের দেওয়া তথ্যে এবং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় নিহতের সংখ্যা ২৯ জন, আর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিহতের সংখ্যা ৩১ জন।
অর্থাৎ, ফেসবুকে স্কুল কর্তৃপক্ষের নামে ছড়ানো নিহতের এই সংখ্যাটি ভুয়া।