এএসএম ফেরদৌস রহমান
গুগলের নজরদারি এড়াচ্ছে জুয়ার বিজ্ঞাপন, লক্ষ্য বাংলাদেশি গেমাররা
এএসএম ফেরদৌস রহমান
জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিস্তার ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই সামনে আসে প্রথাগত ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে আরেকটি বিষয় প্রায়ই অলক্ষ্যে থেকে যায়। সেটি হলো মোবাইল গেম। বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ সক্রিয়ভাবে মোবাইল গেম খেলে থাকেন, যাদের অনেকেই তরুন। অনেক ব্যবহারকারীই এসব মোবাইল গেমে নিমগ্ন থাকেন এবং দৈনিক কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন।
জুয়ার সাইটগুলো ক্রমেই এমন মোবাইল গেমের ব্যবহারকারীদের বেছে নিচ্ছে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য। এই লেখক ছয়টি জনপ্রিয় গেম ৩০ ঘন্টা খেলে এমন ৭৭টি জুয়া ও ক্যাসিনো সাইটের বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছেন। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনেই দ্রুত অর্থ আয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো দেখানো হয়েছে গুগলের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১১টি বিজ্ঞাপনের একটিই ছিল জুয়া সংক্রান্ত।
এই গবেষণার জন্য যে গেমগুলো খেলা হয়েছে, সেগুলো হলো: লুডো কিং, ক্যারম পুল, ফুটবল লিগ ২০২৪, পিজা রেডি, এইট বল পুল এবং ক্রিকেট লিগ। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া গেমের তালিকায় এই সবগুলো গেমই পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জুয়ার বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে ফুটবল লিগ ২০২৪-এ। তারপরেই ছিল এইট বল পুল।
গেমগুলো খেলার সময় যেসব জুয়ার অ্যাপ ও সাইটের বিজ্ঞাপন দেখা গেছে, তার মধ্যে ছিল ওয়ান এক্সবেট, বাবু৮৮, ব্যাটেরি ইত্যাদি। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্লাটফর্মে এবং স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলেও এসব সাইটের বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। তবে নীতিমালা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এড়ানোর জন্য অনেক বিজ্ঞাপনই চালানো হয়েছে বিভিন্ন বিনোদনমূলক গেমের ছদ্মবেশে। কিন্তু এসব গেমও ব্যবহারকারীদের নিয়ে যায় জুয়ার সাইটে বা অ্যাপে।
গুগল কিছু নির্দিষ্ট দেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানোর অনুমতি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ এসব দেশের তালিকায় নেই। তারপরও জুয়ার সাইটগুলো প্ল্যাটফর্মের এই নজরদারি ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারছে এবং এর মাধ্যমে অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশও ভঙ্গ করছে।
কেন বিষয়টি গুরুতর
মোবাইল গেম ক্রমেই হয়ে উঠেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে, শুধু বাংলাদেশেই এই খাত থেকে মুনাফা এসেছে ৫৪.৮৭ কোটি ডলার এবং গেমের ভেতরে বিজ্ঞাপন দেখানোর মুনাফা ছিল ২.৬৭ কোটি ডলার। এটি ২০২৭ সাল নাগাদ ১০.৮২% হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গেম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.৩৬ কোটি। ২০২৭ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪.১ কোটিতে।
গেমের ভেতরে বিজ্ঞাপন দেখানোর এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিচ্ছে। অনেকেই গেমের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব বিজ্ঞাপন দেখেন। আবার কিছু গেমে এমন বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, যেগুলো চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। জুয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে যেখানে ব্যবহারকারীরা খুবই সক্রিয় থাকেন। এর মাধ্যমে তারা লাখ লাখ খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে বাজি ধরার মনোভাব গড়ে তুলছে।
জুয়ার বিজ্ঞাপনের ধরন ও প্রবণতা
এই গবেষনায় নজর দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ছয়টি জনপ্রিয় মোবাইল গেমের দিকে, যেগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে তিনটি বিভাগ থেকে: স্পোর্টস, বোর্ড ও সিমুলেশন। ১৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত, এই লেখক একেকটি গেম নিয়মিতভাবে খেলেছেন একটানা এক ঘন্টা করে। সতর্কভাবে নথিবদ্ধ করেছেন প্রতিটি বিজ্ঞাপন। সেখানে গড়ে প্রতি ঘন্টায় দেখা গেছে ২৯টি বিজ্ঞাপন। যার মধ্যে তিনটি ছিল জুয়া সংক্রান্ত। মাত্র দুইবার এমন হয়েছে, যেখানে এক ঘন্টায় কোনো জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়া যায়নি। আর এক ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৫টি জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। চারবার এমন হয়েছে, যেখানে ঘন্টায় অন্তত ৫টি জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। গড়ে প্রতি ঘন্টায় দেখা গেছে ৩টি করে জুয়ার বিজ্ঞাপন।
ওপরের চার্টে দেখা যাচ্ছে গেমগুলোতে কোন কোন জুয়ার প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। ব্যাটেরি নামের জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি, ২০.৮%। ব্যাঙ্গার ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপন আছে ১৮.২%। পানা৩৬৫ ও বিলবেটের বিজ্ঞাপন আছে ১৫.৬% করে।
জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো আরেকটি শীর্ষ কোম্পানি ওয়ান এক্সবেট, যাদের বিজ্ঞাপন ছিল ১৪.৩%। সবমিলিয়ে এই পাঁচটি জুয়ার অ্যাপ ও ওয়েবসাইটই দেখিয়েছে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন। এদের মধ্যে কয়েকটি জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন চলতে দেখা গেছে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও।
কিছু জুয়ার প্ল্যাটফর্ম তাদের সত্যিকারের পরিচয় গোপন করেও বিজ্ঞাপন চালিয়েছে। যেমন সুপার এভিয়া ফ্লাই ও বোনানজা লাভের মতো অ্যাপগুলোর প্রচার চালানো বিজ্ঞাপনগুলো দেখে মনে হবে, তারা গুগল প্লে স্টোরের কোনো আর্কেড বা অ্যাডভেঞ্চার গেমের প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু অ্যাপগুলো ডাউনলোড করে চালু করলে সেগুলো ব্যবহারকারীদের নিয়ে যায় ব্যাঙ্গার ক্যাসিনো বা বিলবেটের মতো জুয়ার সাইটে। গুগল প্লে স্টোরে পরবর্তীতে এই অ্যাপগুলো আর পাওয়া যায় না। কিন্তু এই কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হয়– তা দেখতে পাওয়া যায় এই ভিডিওগুলোতে (১, ২)।
ডেটা অনুসারে, পিজা রেডি গেমে প্রতি ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে। গড়ে ৫১.২টি বিজ্ঞাপন দেখানো হলেও সেখানে জুয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের হার ছিল ৫.৯%। আর বিজ্ঞাপন সবচেয়ে কম দেখা গেছে ক্রিকেট লিগে, ঘন্টায় গড়ে ১.২টি; যার মধ্যে জুয়ার বিজ্ঞাপন ছিল ৬.২%।
এই লেখকের খেলা গেমগুলোতে দেখানো বিজ্ঞাপনের মধ্যে জুয়ার বিজ্ঞাপন সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ফুটবল লিগে, ১৪.৪%। আর জুয়ার বিজ্ঞাপন সবচেয়ে কম ছিল লুডো কিং-এ, ৪.৮%।
নজরদারি নেই প্লে স্টোরের
গবেষণায় যেসব জুয়ার বিজ্ঞাপন নথিবদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলোর ৪২% দেখানো হয়েছে গুগলের মাধ্যমে, যা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, গুগল এসব গেমে সক্রিয়ভাবে জুয়ার সাইটের প্রচারণা চালিয়েছে। গুগলের বিজ্ঞাপনী নীতিমালা অনুযায়ী, জুয়ার বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট কিছু দেশের ব্যবহারকারীকেই লক্ষ্য করে পরিচালিত হতে পারবে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে এমন বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। বাংলাদেশ এসব অনুমোদিত দেশের তালিকায় নেই। ফলে এ ধরনের বিজ্ঞাপন এখানে দেখতে পাওয়ার কথা না। যদিও, মোবাইল গেম খেলার সময় বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে এমন জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে।
গুগল ছাড়াও, এসব জুয়ার বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে আরও তিনটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে- চার্টবুস্ট, মিনেটগ্রাল ও ইউনিটি অ্যাডস। চার্টবুস্টের নীতিমালায় বলা আছে, স্থানীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এ ধরনের জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। একই ধরনের কথা বলা আছে মিনটেগ্রাল ও ইউনিটি অ্যাডের নীতিমালাতেও।
প্ল্যাটফর্মগুলোর নীতিমালা অনুযায়ী, এসব বিজ্ঞাপন স্পষ্টতই স্থানীয় আইন ও বিধি ভঙ্গ করে এবং এগুলোর অনুমোদন পাওয়ার কথা না। তবে যে পরিমাণ জুয়ার বিজ্ঞাপন অবাধে চলতে দেখা গেছে, তা প্ল্যাটফর্মগুলোর নীতিমালা এবং তার প্রয়োগের মধ্যে থাকা ফাঁকটিকেই তুলে ধরে, যার ফলে বাংলাদেশের মোবাইল গেম ব্যবহারকারীদের কাছে এসব জুয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখানো যাচ্ছে।
দৃষ্টি দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) ধারায় সব ধরনের জুয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে সরকারকে। তবে দেশের বর্তমান আইনি কাঠামো জুয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয়। কারণ এটি তৈরি করা হয়েছে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ওপর নির্ভর করে। যেখানে কোনো বাড়ি বা ঘর, যানবাহন, ঘিরে রাখা জায়গায় জুয়ার কর্মকাণ্ড চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের মতো অন্যান্য আইন অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রকাশ্যে জুয়া খেলাকে অপরাধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া লটারি পরিচালনা করা অবৈধ। কিন্তু কোনো আইনেই অনলাইনে জুয়া খেলার বিষয়ে কিছু বলা নেই। যার ফলে ডিজিটাল জগতে জুয়া সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষায় একটি বড় ফাঁক থেকে গেছে।
একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিল হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী স্মরণ করেছেন তাদের উদ্যোগটির কথা: “আমরা টেলিভিশনে বিভিন্ন খেলার সম্প্রচারের সময় জুয়া সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখতে পেয়েছিলাম। ফলে জনস্বার্থে আমরা এই রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলাম।” প্রাথমিক শুনানির পর জুয়া সংক্রান্ত সব বিজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এবং জানতে চাওয়া হয় যে কেন বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়ার প্রচার-প্রচারণা বন্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
তবে, এই আদেশ কার্যকরী কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানো অব্যাহত আছে। রিট আবেদনকারীরা আবারও হাইকোর্টের দারস্থ হন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অনুরোধ নিয়ে। আইনজীবী মিয়াজী বলেছেন, “জুয়া সংক্রান্ত সাইট ব্লক করা এবং বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলাম আদালতের কাছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককেও নির্দেশনা দিতে বলেছিলাম যেন তারা বিক্যাশ, নগদ, এমক্যাশের মতো আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব জুয়ার সাইটে লেনদেন বন্ধ করতে বলে। তারপরও এসব বিজ্ঞাপন থেকেই গেছে।”
এই আইনি তৎপরতাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে অনলাইন জুয়া মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর প্রয়োগ অপর্যাপ্তই থেকে গেছে। গুগল অ্যাডের মাধ্যমে বাংলাদেশে জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখানোর অনুমোদন না থাকলেও এসব বিজ্ঞাপন ডিজিটাল গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে থেকেই গেছে। মিয়াজী মনে করেন যে এজন্য গুগলকে দায়বদ্ধ করা সম্ভব। তিনি বলেছেন, “গুগলকে দায়বদ্ধ করা যায়। কিন্তু স্থানীয়ভাবে অনেক কিছু করার আছে। আদালতের নির্দেশনার এক বছর পেরিয়ে গেছে, তারপরও এসব বিজ্ঞাপন এখনো চলছে।” এ ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০২৪ সালের জুনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন বাংলাদেশে আনুমানিক ৫০ লাখ মানুষ অনলাইনে জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত। ২৬০০ জুয়ার সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিসমিসল্যাবের একটি অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, বিভিন্ন সরকারী ওয়েবসাইটের ভেতরে তিন হাজারের বেশি জুয়ার ওয়েবপেজ হোস্ট করা ছিল।