আহমেদ ইয়াসীর আবরার
জামায়াতে যোগদানের হুমকি নিয়ে যমুনা টিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড
আহমেদ ইয়াসীর আবরার
হবিগঞ্জের স্কুল শিক্ষক পরেশ দত্ত জামায়াতে ইসলামীর অমুসলিম শাখায় নাম না লেখালে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে দাবি করে যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ড প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। যাচাইয়ে দেখা যায় এই ফটোকার্ডটি ভুয়া এবং যমুনা টিভি এমন কোন সংবাদ প্রচার করেনি।
যমুনা টিভির লোগো সংযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার হতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে (১, ২, ৩)। ফেসবুকে এই ফটোকার্ডটিকে সত্য ধরে নিয়ে ভিডিও (১, ২) ছড়াতে দেখা যায় যেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। একই ফটোকার্ডটি এক্সেও (সাবেক টুইটার) পোস্ট হতে দেখা গেছে।
ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা যায় যমুনা টিভির ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে এমন কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি এবং এমন কোনো ফটোকার্ডও পাওয়া যায়নি। ফটোকার্ডটির বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিসমিসল্যাব যোগাযোগ করে যমুনা টিভির নিউ মিডিয়ার জয়েন্ট এডিটর মুরশিদুজ্জামান হিমুর সঙ্গে। তিনি জানান এই ফটোকার্ডটি সত্য নয়। যমুনা টিভি এমন কোন ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। তাছাড়া যমুনা টিভি এধরনের ফন্ট ব্যবহার করে না বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি ফেসবুকে এমন আরেকটি অপতথ্য ছড়ায়, যেখানে দাবি করা হয় যে লালমনিরহাটে ২৭ হিন্দু পরিবারকে জোর করে, দেশত্যাগ ও হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করেছে জামায়াতে ইসলামী। রিউমর স্ক্যানার তাদের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে জানায় দাবিটি সত্য নয়।