তামারা ইয়াসমীন তমা

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব
বাংলা বর্ণমালা থেকে কয়েকটি বর্ণ বাদ দেওয়ার দাবিটি ভুয়া
This article is more than 2 years old

বাংলা বর্ণমালা থেকে কয়েকটি বর্ণ বাদ দেওয়ার দাবিটি ভুয়া

তামারা ইয়াসমীন তমা

রিসার্চ অফিসার, ডিসমিসল্যাব

২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে ঈ, ঊ, ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে ণ, ণ, ট, ৎ বর্ণগুলো বাদ দেওয়া হবে এমন একটি তথ্য ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক মাধ্যম ও মোবাইল বার্তায় ছড়িয়ে পড়েছে।  

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের নামে বার্তাটি ছড়ানো হয়েছে। তবে ডিসমিসল্যাবের যাচাইয়ে দেখা গেছে, বার্তাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বাংলা একাডেমি বা সেলিনা হোসেনের তরফ থেকে এমন কোনো বিবৃতি প্রচারিত হয়নি।

স্ক্রিনশটে লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“প্রিয় সুধী! 

আগামী ২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে ঈ ঊ ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে ঞ ণ ঢ় ৎ বাদ দেওয়া হবে।

সেলিনা হোসেন

সভাপতি, 

বাংলা একাডেমি”

এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এরকম কোনো বক্তব্য প্রদানের প্রশ্নই উঠে না। বাংলা একাডেমির তরফ থেকেও এমন কোনো বক্তব্য প্রচারিত হয়নি”। কে বা কারা এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করছে তাদের প্রতি তিনি বিরক্তিও প্রকাশ করেন।

আজ বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মে একটি স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ভুয়া বার্তাটি ছড়াতে শুরু করে। বিকাল নাগাদ সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকেও বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ে। 

এর আগেও বাংলা একাডেমির নামে ভুয়া খবর ছড়ানোর নজির মিলে। ২০২০ সালের মার্চে বাংলা একাডেমির নামে ফেসবুকের বাংলা হিসেবে ‘বদনবই’ ব্যবহারের একটি ভুয়া বার্তা ছড়ায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি শব্দটি তাদের প্রণীত নয় জানিয়ে একটি সতর্কীকরণ বিবৃতি প্রকাশ করে।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে একই রকম একটি বার্তায় বাংলা বর্ণমালা থেকে বিশেষ এই বর্ণগুলো বাদ দেওয়া হতে পারে বলে ভুয়া বার্তা ছড়ানো হয়। 

আরো কিছু লেখা