মিনহাজ আমান
ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ভুয়া বক্তব্য প্রচার
মিনহাজ আমান
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বক্তব্য সম্বলিত ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। পোস্টগুলোতে ড. ইউনূসের বরাতে বলা হয়, “অতি জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন দেশের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা; অন্যথায় অচিরেই নষ্ট হয়ে যাবে দেশের যুব সমাজ এবং বাংলাদেশ ভারতের রাজ্যে পরিণত হবে। এখন আমাদের প্রয়োজন দলবল নির্বিশেষে গনতন্ত্র পূণ উদ্ধারের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরা। অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বাজিয়ে-মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা”। (বক্তব্যটি হুবহু রাখা হয়েছে।) কিন্তু ইউনূস সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, বক্তব্যটি ড. ইউনূসের নয়।
বক্তব্যটি যাচাই করতে গিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও টুইটারে এমন কোনো বক্তব্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ইউনূস সেন্টার, তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বক্তব্যটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “… উদ্ধৃতিটি যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে প্রচারিত।”
দেখা গেছে, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ, গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বক্তব্যটি ড. ইউনূসের নামে প্রচার করা হয়। চলতি বছরও দাবিটি একই বক্তার বরাতে পোস্ট ও শেয়ার করা হচ্ছে।
সার্চ করে দেখা গেছে, হুবহু একই বক্তব্য ২০১৬ সাল থেকে কয়েকজন ভিন্ন ব্যক্তির নামে বা কোনো সূত্র ছাড়াই একাধিক সময়ে প্রচার করা হয়েছে। যেমন, ২০১৬ সালে একই বক্তব্য বরিশালের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাউদ্দিন ফরহাদের নামেও প্রচারিত হয়েছে। পরের বছর কোনো সূত্র উল্লেখ না করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি দিয়ে একই বক্তব্যের অংশবিশেষ পোস্ট করা হয়।
এর আগে, ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে আল জাজিরা ও বাংলাদেশের সাংবাদিকতা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া বক্তব্য প্রচারের পর সেটি যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বুম বাংলাদেশ।