মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

নোশিন তাবাসসুম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব
নভেম্বর ৯, ২০২৫
১৭:০২:১৭
বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধের ঘটনা কেন্দ্র করে ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার

বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধের ঘটনা কেন্দ্র করে ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার

নভেম্বর ৯, ২০২৫
১৭:০২:১৭

নোশিন তাবাসসুম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ হত্যার মূল হোতা শিবিরকর্মী কুমিল্লা থেকে আটক দাবিতে একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ডিসমিসল্যাবের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, ফটোকার্ডে যুক্ত ছবিটি ভিন্ন ঘটনার ও বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর মৃত্যুর দাবিটি মিথ্যা।

“বাটইয়া নিউজ” নামের পেজটি থেকে গত ৬ নভেম্বর একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, টুপি ও পাঞ্জাবি পরিহিত একজন দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা ধরে আছেন। ইনসেটে ডান দিকে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহর একটি ছবিও জুড়ে দেয়া হয়েছে। ফটোকার্ডের ভেতরে লেখা, “চট্টগ্রাম বিএনপি নেতা এরশাদউল্লাহ হত্যার মুল হোতা শিবিরকর্মী কুমিল্লা থেকে আটক।” ফেসবুকের একাধিক ব্যক্তিগত প্রোফাইল (,,) থেকে একই দাবিতে ফটোকার্ডের ছবিটি প্রকাশ করা হয়।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ফটোকার্ডের ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে সময় টেলিভিশন ও আরটিভির দুইটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে, বাটইয়া নিউজের ফটোকার্ডে থাকা টুপি ও পাঞ্জাবি পরিহিত ব্যক্তির ছবি হুবহু মিলে যায়। সময় টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৮ মে বড়াইগ্রাম উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুর রহিম এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ২০২৫ সালের ১২ মার্চ তাকে আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি মূলত সেই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়েছে। একই ছবি ব্যবহার করে প্রকাশিত আরটিভির প্রতিবেদনে একই তথ্য জানানো হয়। অধিকতর যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে প্রথম আলোতেও ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

অন্যদিকে, বাটইয়া নিউজের ফটোকার্ডে বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করা হলেও তিনি এখনো বেঁচে আছে। এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে দ্য ডেইলি স্টারে গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন এবং তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন (,) প্রকাশিত হয়।  

অর্থাৎ, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ মারা যাননি ও তাকে হত্যার মূল হোতা কুমিল্লায় আটকের দাবিতে প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন একটি ঘটনার। 

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বায়েজিদের চালিতাতলি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো কিছু লেখা