তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন

ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দাবি সঠিক নয়
তাসনিম তাবাস্সুম মুনমুন
ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসসাম আবু সাফিয়া শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ে গত ১০ অক্টোবর। ডিসমিসল্যাবের ফ্যাক্টচেকে দেখা যায়, আবু সাফিয়া মনোনীত হলেও শান্তি পুরষ্কারটি পান ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। সেদিনই ফেসবুক ও ইউটিউবে একটি ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ে যাতে লেখা, “শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফিলিস্তিনি ডাক্তার হুসাম ইদ্দ্রিস আবু সাফিয়া” (পোস্টগুলো পরে সরিয়ে নেওয়া হয়)।

তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি এই শিশু বিশেষজ্ঞ মনোনীত হলেও ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদোই পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়রগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস সাংবাদিকদের সামনে তার নাম ঘোষণা করেন।
নোবেল কমিটির অফিশিয়াল তথ্যমতে, মনোনয়নের নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করেন এরকম যেকোনো ব্যক্তি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। তবে ৫০ বছর পার হওয়ার পরই তারা মনোনীতদের নাম ও মনোনয়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে। চলতি বছর এ পুরস্কারের জন্য নোবেল কমিটির কাছে ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি সংস্থার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল।

নেদারল্যান্ডসের চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস ফর গাজা ইন দ্য নেদারল্যান্ডস’ ফিলিস্তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হুসসাম আবু সাফিয়াকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের প্রস্তাব করেছিল। ডাচ মানবাধিকার সংগঠন ‘দ্যা রাইটস ফোরাম’ জানায়, চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অসাধারণ সাহস, রোগীদের প্রতি অটল নিষ্ঠা ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি হিসেবে ডা. আবু সাফিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। তিনি মনোনীত হয়েছিলেন, তবে পুরষ্কার পেয়েছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো।