মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
১৮:৩৫:০৫
জামায়াতে ইসলামী নিয়ে লেখাটি সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের নয়
This article is more than 2 months old

জামায়াতে ইসলামী নিয়ে লেখাটি সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের নয়

সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
১৮:৩৫:০৫

মো. তৌহিদুল ইসলাম

ফেলো, ডিসমিসল্যাব

টকশো সঞ্চালক ও সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের ছবি সম্বলিত একটি পোস্ট সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়াতে দেখা গেছে। জামায়াতে ইসলামী নিয়ে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের লেখা দাবিতে পোস্টটি ছড়ায়। তবে যাচাইয়ে দেখা যায়, লেখাটি তার নয়। সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন নিজেই ডিসমিসল্যাবকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

“জামায়াত নিয়ে খালেদ মহিউদ্দিন এর লিখা” শিরোনামে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্ট (, , , , , ) পাওয়া যায়। পোস্টগুলোতে জুলাই শহীদদের নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত দশ খণ্ডের বইয়ের প্রশংসা করা হয়। এছাড়াও বই প্রকাশে দলটির অবদান উল্লেখ করে লেখা হয়, “আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি— এই কাজের পুরস্কার যেন আল্লাহ জামাতকে দান করেন। প্রায় ছয় শত শহীদের জীবনী, তাদের পরিচয়, আকাঙ্ক্ষা, পরিবার, শাহাদতের বিবরণ, তাদের উপর চালানো নির্মমতা— এসব কিছু রঙ্গিন পাতায় এতো উত্তমভাবে আনা হয়েছে, বলার মত নয়।”

১৯ আগস্ট একটি ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার হওয়া এমন একটি পোস্ট এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে এবং এতে রিয়্যাকশন পড়ে ছয় হাজারের বেশি। পোস্টটির মন্তব্য ঘরে একজন লিখেছেন, “সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন ভাই একজন বিচক্ষণ লোক।” আরেকজন লিখেছেন, “আমার মনে হয় আপনার সাংবাদিকতার আজকে স্বার্থকতার মুহুর্তের দিন। এতো সুন্দর একটা অনুসন্ধানি রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।” 

এর আগে গত এপ্রিলে একই লেখা খালিদ মুহম্মদ নামে একটি ফেসবুক আইডির বরাতেও ছড়াতে দেখা যায়। তবে তখন থেকেই বিভিন্ন সময় সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের নামেও পোস্টটি ছড়ায়। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোতে খালেদ মুহিউদ্দীনের নামের বানান ঠিক নেই। লেখা হয়েছে, “খালেদ মহিউদ্দিন”।  তবে তার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে নামের বানান লেখা রয়েছে, “খালেদ মুহিউদ্দীন”।

এধরনের বেশ কয়েকটি পোস্টের স্ক্রিনশট ও লেখা সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় ডিসমিসল্যাব। জামায়াতে ইসলামী নিয়ে এই লেখা তার কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “এই কথাগুলো আমার বক্তব্য নয়।” 

অর্থাৎ, সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের বক্তব্য অনুসারে, জামায়াতে ইসলামী নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া লেখাটি তার নয়।

প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে “দ্বিতীয় স্বাধীনতায় শহীদ যারা” নামে দশ খণ্ডের স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। “জামায়াত অনলাইন লাইব্রেরি” নামের একটি ওয়েসাইটে বইগুলো বাংলা, ইংরেজী ও আরবী ভাষায় খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও গত ১ আগস্ট বইটির আরবি ও ইংরেজি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচিত হয়

আরো কিছু লেখা